আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গণতন্ত্রহীন পরিবেশ তৈরি করেছে দাবি করে থেকে উত্তরণে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দলের ঐক্য চেয়েছেন যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিকল্প ধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।শনিবার মুসলিম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে এই প্রত্যাশার কথা জানান নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে সরকারবিরোধী সব দলগুলোকে এক মঞ্চে আনতে সচেষ্ট বি চৌধুরী।

তিনি বলেন, এই যে ছল চাতুরির নির্বাচন, এই যে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং- এরকম ভবিষ্যতে হলে বাংলাদেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে, গণতন্ত্র চিরকালের জন্য নির্বাসিত হয়ে যাবে। সুতরাং এবারের সংগ্রাম মানুষের অধিকারের সংগ্রাম।আমি বলব, যারাই গণতন্ত্রের সপক্ষের শক্তি, তাদেরকে জেগে উঠতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে এবং বলতে হবে যে, এই ধরনের কৌশলের নির্বাচন আমরা মানব না। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, এটাই হবে এক নম্বর সংগ্রাম। এটাই হল বাংলাদেশের ইতিহাসের পক্ষে শ্রদ্ধা জানানোর একমাত্র উপায়।২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বি চৌধুরী বলেন, তাদের প্রধানতম ব্যক্তি বললেন, এটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন, অচিরেই আমরা নির্বাচনের ব্যবস্থা করব, সমস্ত দল অংশগ্রহণ করবে।কথা দিয়ে কথা রাখলো না এরা। ওয়াদার বরখেলাপ করল। পবিত্র কুরআনে আছে ওয়াদার বরখেলাপকারী সত্যিকার মুসলমান নয়।

মুসলিম লীগের নেতাদের সময়ের সঙ্গে যুগোপযোগী করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরী।তিনি বলেন, অনেকেরই প্রাথমিক শিক্ষা ছিল মুসলিম লীগ। আপনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা বলেন, উনি মুসলিম লীগ ছিলেন। তারপর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মুসলিম লীগ ছিলেন, শেরে বাংলা ফজলুল হক মুসলিম লীগ ছিলেন। আমার বাবা মুসলিম লীগ ছিলেন। তার মানে, যারা সংগঠন করেছেন, তারা কোনো না কোনো পর্যায়ে মুসলিম লীগ ছিলেন।এরপর রাজনীতি পট পরিবর্তন হল, সেই প্রক্রিয়ায় মুসলিম লীগ পিছিয়ে পড়ল। কী অপরাধ, কী ভুল-ত্রুটি, সেটা আপনারা জানেন, আপনাদের ব্যাপার। আমি এখন বলতে, জামানা বদলে গেছে, স্বীকার করেন না কেন?কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে মুসলিম লীগের নবম জাতীয় কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী।সভায় খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজী হুজুর, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের সভাপতি ববি হাজ্জাজ, কেন্দ্রীয় নেতা আতিকুল ইসলাম, ওয়াজিব আলী মোড়ল, আবদুর রশিদ খান চৌধুরী, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, আবদুল আজিজ হাওলাদার বক্তব্য রাখেন।