যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজিপাড়ায় শরিফুল ইসলাম সোহাগ (২৮) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষরা ছুরিকাঘাত ও জবাই করে সোহাগকে হত্যা করেছে। সোহাগ কাজিপাড়ার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। এলাকাবাসী ও সোহাগের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সোহাগ শহর থেকে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ির অদূরে পৌঁছলে কাজিপাড়া গোলামপট্টির মৃত আব্দুল খালেক মুন্সির ছেলে কাজল, ডায়মন্ড প্রেসের উত্তর পাশের বাড়ির মৃত দবুকাজির ছেলে তুমুল, গোলামপট্টির তাইজেল, তরুন, টিপু,আমিরুলসহ ৮/১০ জন গতি রোধ করে সোহাগের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা সোহাগের পেটে ছুরিকাঘাত করলে সোহাগ চিৎকার দিয়ে বাড়ির দিকে দৌড় দেয়। সন্ত্রাসীরাও সোহাগের পিছু নেয়। এরপর বাড়ির সামনের রাস্তার উপর সোহাগকে জবাই করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

সোহাগের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে সোহাগকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার কাজল মল্লিক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন। কাজল মল্লিক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই সোহাগের মৃত্যু হয়েছে। নিহত সোহাগের বড়ভাই সম্যাজ জানান, সোহাগ তার ঠিকাদারি কাজের সাইড দেখাশোনা করতো। সে ভালোভাবে চলাফেরা করতো বলেই প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে একই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী কাজল, তুমুল, তাইজেল, তরুন ,টিপু, ও আমিরুল সোহাগকে হত্যা করেছে। সোহাগ হত্যাকান্ডের বিষয়ে কোতয়ালী থানার ওসি অপূর্ব হাসানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, অভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধরে সোহাগ খুন হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।