সরকারবিরোধী জোট গঠন করতে ড. কামাল হোসেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরীরা যে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নয় বরং ষড়যন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বলে মন্তব্য করেছেন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা। শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের কর্মী সমাবেশে এসব মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটটির নেতারা।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যারা একত্রিত হয়েছেন তারা চক্রান্তের শক্তি। তারা নির্বাচন বানচাল করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তিনি বলেন, আজ যেসব লোকেরা একত্রিত হয়েছেন তারা বিগত সেনা শাসনের আইনি উপদেষ্টা ছিলেন। তারা মাইনাস টু থিওরির প্রচারক, সংস্কারবাদী অথচ তারাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন বলে একত্রিত হয়েছেন।তিনি বলেন, তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে আমাদের সমাবেশ। মেনন বলেন, তাদের চেহারা ধরা পড়ে গেছে।আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, আন্দোলনের নামে যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করবে তাদেরকে ধরিয়ে দিতে হবে, প্রতিহত করতে হবে। এসব করার জন্য কর্মী বাহিনীকে প্রস্তুতি নিয়ে ঘরে ফিরতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমস্ত ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এ দেশে গণতান্ত্রিক সরকার কায়েম হবে। তাই ১৪ দলের নেতাকর্মীদেরকে প্রতিজ্ঞা-শপথ নিয়ে আগামীতে প্রস্তুতি নিতে হবে।আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর অপর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন, বি. চৌধুরী পলায়নপর নেতা। উনারা এসেছেন গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেবেন। তিনি বলেন, দুই পলায়নপর নেতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আরেক পলাতক নেতা তারেক রহমান। তিনজনের একটা ঐক্য হয়েছে। এরা ষড়যন্ত্রের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চান।সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া বলেন, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা গণতন্ত্র নয় ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে মাঠে নেমেছেন। তাদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ১৪ দলকে মাঠে নামতে হবে। তিনি বলেন, আবারও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আদর্শিক জোট ১৪ দলকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ঘোষণা অনুযায়ী রাজশাহী, নাটোর ও খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ করে ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে ১৪ দল।নাসিম জানান, ৯ অক্টোবর রাজশাহী, ১০ অক্টোবর নাটোর ও ১৩ অক্টোবর খুলনায় বিভাগীয় সমাবেশ করবে ১৪ দল। তারপর নেত্রীর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে আলোচনা করে অক্টোবরে ঢাকায় মহাসমাবেশ করা হবে।বত্তর জাতীয় ঐক্যের’ বিষয়ে তিনি বলেন, ওরা বলেছে অক্টোবর থেকে মাঠে থাকবে। অক্টোবর তোমাদের জীবনে আসবে না। ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠ গরম করব।কর্মীসভায় ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের আগে মাঠ গরম করতে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি সাপেক্ষে অক্টোবরে দেশের তিনটি বিভাগীয় শহরে সমাবেশ ও ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেন।১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে কর্মী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শরীফ নুরুল আম্বিয়া, শিরীন আক্তার, রেজাউর রশীদ খান প্রমুখ।