বিএনপি গত ১০ বছরে ১০ মিনিটও রাস্তায় নামতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর তারা বলবে, বিএনপির নেতৃত্বে জনগণের চাপের কাছে সরকার নতি স্বীকার করেছে। আমি বললাম, এটাই তারা বলবে। বাংলাদেশে গত ১০ বছরে ১০ মিনিটও রাস্তায় নামতে পারে নাই তারা। আপনাদের দাবির এত জোর, কই ৫০০ লোকের মিছিলও দেখি নাই।

শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় জাদুঘরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, রাস্তায় অবরোধ করে কোনও সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সবার জন্য উন্মুক্ত। সেখানে প্রয়োজনে মুক্তমঞ্চ করে দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। যার যা খুশি বলতে পারবেন। দরকার হলে আমরা মাইকও ফিট করে দেবো। কিন্ত রাস্তায় চেঁচামেচি করতে দেবো না, আমরাও করবো না, আপনাদেরও দেবো না।পত্রিকার মালিক, সম্পাদকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমার অনুরোধ যা দেখবেন, যা শুনবেন তাই লিখবেন। শুক্রবার ১৪ দলের সমন্বয়ক আমাকে বলেছেন তারা কর্মী সমাবেশ করছেন। কিন্তু আপনারা একে সমাবেশ বলছেন কেন? সমাবেশ বানিয়ে বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টি তো আমরা করবো না। পাল্টাপাল্টি করলে কী আমরা নাট্যমঞ্চে করবো? এটা সমাবেশ নয়, এটা হচ্ছে কর্মী সমাবেশ। এসব বিষয়গুলো বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।তিনি আরও বলেন,‘টক শোর বিষয় হলো সভা-সমাবেশের অনুমতি লাগবে কেন? উপস্থাপকও বলছেন অনুমতি। কিন্তু এ সাবজেক্টটাই বা কেন? পুলিশের অনুমতি শুধু বিরোধী দল নয়, সরকারি দলকেও নিতে হয়। আমরা ক্ষমতাসীন দলও অনুমতি নেই, এটাই নিয়ম।

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমার এক বন্ধু,একসময় ছাত্র ইউনিয়ন করেছিলেন উনি এখন বিএনপির থিঙ্কট্যাংকের সঙ্গে জড়িত। গত পরশুদিন এক টকশোতে তার বক্তব্য আমি অবাক হয়ে শুনলাম। তিনি বলছেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব যে কথা বলেছেন তাতে আমরা ভয় পাচ্ছি। কারণ আমি নাকি বলেছি, দেশে অশনি সংকেত শুনতে পাচ্ছি। আমি বলেছি, দেশে অশুভ শক্তির তৎপরতা চলছে, তিনি কেন অর্ধসত্য বলে আমার অশুভ শক্তির জায়গায় অশনি সংকেত ব্যবহার করে আমার সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন জানি না। এটাই যদি বিএনপির রাজনীতি হয়, আমার কিছু বলার নাই। এটা মিথ্যাচার, আমি চ্যালেঞ্জ করছি, আমার ভিডিও আছে। আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। তাৎক্ষনিকভাবে টেলিভিশনের নিউজ এডিটরকে আমার জনসংযোগ কর্মকর্তার মাধ্যমে মেসেজটি দিয়েছি। এসব কিন্তু চলছে, প্রাসঙ্গিক বিষয়কে বাদ দিয়ে এ ধরনের আলোচনা চলছে।