মানহানির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগও। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করার অভিযোগে ঢাকা ও নড়াইলে এ মামলা দুটি করা হয়। এ মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে গত ১৩ আগস্ট ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। জামিন স্থগিত চেয়ে গত ১৯ আগস্ট আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
৩০ আগস্ট চেম্বার বিচারপতি আবেদন দুটি ১ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়। আজ(সোমবার) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এতে হাইকোর্টে দেয়া জামিন আপিলেও বহাল রয়েছে।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন ও কায়সার কামাল।
জয়নুল আবেদীন জানান, বিচারিক আদালত জামিন না দেয়ায় উচ্চ আদালতে আসতে হয়েছিল। এগুলো জামিনযোগ্য মামলা। রাজনৈতিক উদ্দশ্যে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখার জন্য সরকার জামিনের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিল। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর মামলাটি করেন নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান ফারুকী। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরেকটি মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।