গাজীপুরের টঙ্গীতে ন্যাশনাল ফ্যান কারখানায় বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হয়েছেন; এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন।টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কারখানার ভেতরে হিট চেম্বারে এই বিস্ফোরণ ঘটে।নিহতরা হলেন নেত্রকোণা সদরের নড়িয়া এলাকার সাহেব আলীর ছেলে শামসুল হক (২০) ও ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. তাইজুল ইসলাম ওরফে আজিজুল ইসলাম (১৮)।তারা কারখানার পেইন্ট সেকশনের শ্রমিক ছিলেন।

আহতদের প্রাথমিকভাবে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।ওই হাসপাতালের চিকিৎসক রায়েয়া বিনতে রিয়াজ বলেন, তাদের হাসপাতালে ওই কারখানার অন্তত ৩৫ জনকে আনা হয়। তাদের মধ্যে দুইজন নিহত।আর ১০ জনকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া আটজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।।অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আশিকুর রহমান বলেন, ফ্যানে রং করার পর হিট চেম্বারে রেখে শুকানো হয়।চেম্বারের হিট মেশিনে অতিরিক্ত তাপে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

আগুন দ্রুত দুটি ইউনিটে ছড়িয়ে পড়ে জানিয়ে তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে প্রায় আধাঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।আহতদের যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন রিপন (১৮), কবির (২৫), সাজ্জাত (১৭), রাসেল (১৮), রাইহান খান (২৫), রিপন (২১), লাল চাঁন (২৫), মোশারফ (১৮), তানজিনা (২২), সালমা (১৮), কাকলী (২০), রনি (২৫), আসিফ (১৮), আতিকুল (২০), আক্তারা (৪০), আকাশ (১৮), আলমগীর (২০), বাবু (১৮), রিপন (১৮), ঝর্ণা (৫০) ও তায়েব খানের (৩২) নাম জানা গেছে।তাদের মধ্যে রিপন, কবির, লাল চাঁন, তানজিলা, সালমা, কাকলী ও রনিসহ আটজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ন কবীর জানান, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।সাত কার্য দিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে সহযোগিতা দেওয়ার পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।