উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় প্রায় ২ লক্ষাধিক জেলে থাকলেও এখনো সকল জেলে নিবন্ধনের আওয়তায় আসেনি। যার ফলে অনিবন্ধিত জেলেরা বঞ্চিত হচ্ছে সরকারি নানা সুযোগ সুবিধা থেকে। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি সুযোগ সুবিধার লোভে ভিন্ন পেশার লোকও জেলেকার্ড নিয়ে সরকারি ভিজিএফের চাল নিচ্ছে। অথচ বছরের পর বছর মাছ ধরে অনেক জেলে নিবন্ধিতকার্ড এখনো তাদের ভাগ্যে জুটেনি। ভোলার এক দিকে বঙ্গপোসাগর ও তিন দিকে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ভরপুর মৎস্য সম্পদে । এই মৎস্য সম্পদকে কেন্দ্র করে নদী ও সাগর মোহনায় ২ লক্ষাধিক জেলে মাছধরে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। ঝড় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রোদেপুরে জীবন বাজি রেখে দিন রাত নদী ও সাগর মোহনায় মাছ শিকার করে দেশের অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখে। তাই সরকার এসব জেলেদের বিভিন্ন সহায়তা প্রদানের জন্য নিবন্ধন করে তাদের পরিচয়পত্র প্রদান করেছে। কিন্তু ভোলার অধিকাংশ জেলে এখনো নিববন্ধনের আওতায় আসেনি।

ভোলা মৎস্য বিভাগের মতে, ভোলা জেলায় ১ লক্ষ ৩২ হাজার ২৬০ জেলেকে নিবন্ধনের আওয়তায় এনে তাদের পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে। কিন্তু এদের সকলে আবার সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে মাত্র ৫২ হাজার ২৫০ জনকে সরকারি খাদ্য সহযোগীতা দেয়া হচ্ছে। এদিকে সরকারি ভাবে নতুন কোন নির্দেশনা না আসায় এখনো অনিবন্ধিত জেলেদের নিবন্ধন করা যাচ্ছে না। তবে অভিযোগ রয়েছে, বছরের পর বছর নদীতে মাছ ধরলেও অনেক জেলে এখনো জেলে কার্ড পায়নি। অনেকে জেলে দ্বারে দ্বারে ঘুরে টাকা দিয়েও কার্ড থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আবার জেলে না হয়েও অন্যপেশার লোক জেলে কার্ড করিয়ে সরকারি সুযোগ সবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে করে নদীর তীরের জেলেদের মধ্যে মারত্বক ক্ষোভ বিরাজ করছে। এব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আহসান হাসিব খান জানান, কার্ডধারি ভূয়া জেলেদের ব্যাপারে এখনো মৎস্য বিভাগ কোন অভিযোগ তারা পায়নি। তবে, অবহিত করলে তারা পদক্ষেপ গ্রহন করবে বলে জানান তিনি।