সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়া পরা অবস্থায় জামায়াত নেতা আলাউদ্দিন আল আজাদকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে উল্লাপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার সাহা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় জামায়াত, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ৭৩ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।তবে পলাতক ওই জামায়াত নেতাকে পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা হলেন উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়া চরপাড়ার খায়রুল ইসলাম (২৫), একই গ্রামের জুয়েল রানা (২৬), আফজাল হোসেন (৩৬), আবদুল মজিদ (৪৬) এবং তাড়াশ উপজেলার দক্ষিণ শ্যামপুর গ্রামের সুরুজ মিয়া (৩৫)।মামলার বাদী এসআই রিপন কুমার সাহা আজ মঙ্গলবার বলেন, উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আলাউদ্দিন আল আজাদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ২০টি মামলা রয়েছে। গতকাল তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনার সময় আজাদের আত্মীয় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থানীয় জামায়াত, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁকে ছিনিয়ে নেন।

এসআই রিপন সাহা বলেন, এ ঘটনায় কয়রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক রকিবুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক রাসেদুল হাসানসহ ছয়জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী এবং আলাউদ্দিন আল আজাদসহ জামায়াত-বিএনপির ৬৭ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান কউসিক আহমেদ জানান, অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।গতকাল দুপুরে কয়রা গ্রামে মৃত হাজী জয়নাল আবেদীন নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠানের দাওয়াতে জামায়াত নেতা ওই বাড়িতে যান। এ সময় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে হাতে হাতকড়া পরায়। একপর্যায়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা একজোট হয়ে হামলা চালিয়ে তাঁকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন।