চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিএস-১৪১ ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ একটি ঘটনা (ইনসিডেন্ট) এটিকে দুর্ঘটনা (অ্যাক্সিডেন্ট) বলা যাবে না।এ ঘটনায় শুধু ইউএস-বাংলাই নয়, বোয়িংও এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছে। বোয়িং তাদের সব এয়ারক্রাফটে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে সে উদ্যোগ নেবে।

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বুধবার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিএস-১৪১ ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ প্রসঙ্গে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করছে।

নিরাপত্তার সব দিক নিশ্চিত করেই ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এয়ারক্রাফট পরিচালনা করে আসছে বলেও দাবি করেন বেসরকারি এ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজারের আকাশে পৌঁছানোর পর ল্যান্ডিং করার আগ মুহূর্তে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফটির নোজ ল্যান্ডিং গিয়ার কেন বের হচ্ছিল না তা তদন্তাধীন আছে।ইউএস-বাংলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ চলতি বছরের ১২ মার্চের কাঠমান্ডু দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ইউএস-বাংলা একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান। এ দুর্ঘটনার আগে বা পরে আমরা কখনোই আমাদের দায়িত্বশীলতা সম্পর্কে উদাসিন ছিলাম না।তিনি বলেন, নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বিধিবদ্ধ নিয়মাবলী এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্সের ক্ষেত্রে অপারেটরকে কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হয়।কেউ চাইলেই এর ব্যতিক্রম করা সম্ভব নয়। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স শুরু থেকেই কঠোরভাবে এসব নীতিমালা অনুসরণ করে আসছে। নোজ গিয়ারে সমস্যা দেখা দেয়ায় ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান (বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এস ২-এজেএ) কক্সবাজারে অবতরণ করতে না পেরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আনুমানিক দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। সে সময় বিমানটিতে ১৬৪ জন যাত্রী এবং ৭ জন ক্রু ছিলেন।