গাজীপুরে বাসা ভাড়া নেয়ার কথা বলে বৃহষ্পতিবার বিকেলে ঘরে ঢুকে এক গৃহকর্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে পালিয়েছে দুর্বৃত্ত। নিহত গৃহকর্ত্রীর নাম রিজিয়া বেগম (৬০)। সে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ি পারিজাত এলাকার তোতা মিয়ার স্ত্রী।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ি পারিজাত এলাকার ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয়তলায় মেয়ে নাজনীন ও জামাতাকে নিয়ে বসবাস করেন গৃহকর্ত্রী রিজিয়া। বুধবার দুপুরে বাসার নিচতলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়ার কথা বলে বাসায় যায় এক ব্যক্তি। বাসা পছন্দ হয়েছে বলে ওই ব্যক্তি রিজিয়াকে জানায়। বৃহস্পতিবার বাসাভাড়ার অগ্রীম (বুকিং) দেয়া হবে বলে ওইদিন সে চলে যায়। কথামত ফ্ল্যাটের অগ্রিম ভাড়া দিতে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই ব্যক্তি রিজিয়ার বাসায় যায়। এসময় নাজনীন ও তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। কিছুক্ষণ পর নাজনীন বাসায় এসে দেখেন ঘরের দরজা খোলা এবং মেঝেতে তার মায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে।

নিহতের মেয়ে নাজনীন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ব্যক্তি কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বাসার নীচ তলায় পৌঁছালে তার মা বিষয়টি নাজনীনকে মোবাইল ফোনে জানায়। পরে বাসার তালাবন্ধ থাকা মেইন কলাপসিবল গেইটের তালা খোলার জন্য রিজিয়া আক্তার দোতলা থেকে নিচে থাকা ওই ব্যক্তির উদ্দেশ্যে চাবি ফেলেন। পরে চাবি দিয়ে গেইটটি খুলে ওই ব্যক্তি দোতলায় উঠেন। তার ধারণা এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি সেখানে তার মাকে ঘাড়ে এবং মুখে ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে গেছে। তবে বাসা থেকে কোন মালামাল খোয়া গেছে কিনা তা তাৎক্ষণিক ভাবে জানাতে পারেননি নাজনীন।

ওসি আরো জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে না-কি মালামাল লুট করতে গিয়ে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই ব্যক্তি বাসা ভাড়া নেয়ার কথা বলে ঘরে ঢুকে মালামাল লুট করতে চাইলে রিজিয়া আক্তার বাধা দেয়। এসময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে রিজিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে ওই ব্যক্তি পালিয়ে গেছে।