শুক্রবার এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে ১৯টি কেন্দ্রের ২৭টি ভেন্যুর ৮১৪টি কক্ষে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে এ ভর্তি পরীক্ষা হবে।

পরীক্ষায় সরকারি ৩৬টি কলেজে ৪ হাজার ৬৮টি ও বেসরকারি ৬৯টি কলেজে ৬ হাজার ২৩২টি আসনসহ মোট ১০ হাজার ৩০০ আসনের বিপরীতে ৬৫ হাজার ৯১৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।রাজধানী ঢাকায় ৪টি সরকারি মেডিকেল ও ১টি ডেন্টালসহ মোট ৫টি কলেজের ৯টি ভেন্যুতে মোট ৩৪ হাজার ৭৪০ জন পরীক্ষার্থী অংগ্রগহণ করবে।স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে সার্বিক তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে বলেন, রাত পোহালেই আগামীকাল ভর্তি পরীক্ষা। এ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।বিকেল সাড়ে ৪টায় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক জানান, রাজধানীসহ সারাদেশে মোট ৮১৪ হলে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য ৮১৪টি প্রশ্নের প্যাকেট তৈরি করা হয়েছে।আজ সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রধান কিংবা তার প্রতিনিধিরা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশি পাহারায় ও ক্ষেত্র বিশেষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারাসহ ট্রাংকবন্দি প্রশ্নপত্র নিজ নিজ পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে গেছে। ইতোমধ্যেই (বিকেল ৪টায়) কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহে পরীক্ষার ডশ্নপত্র পৌঁছে গেছে।

রাজধানী ঢাকায় শুধুমাত্র মুগদা মেডিকেল কলেজের প্রশ্নপত্র আজ পাঠানো হচ্ছে।এছাড়া ঢাকা, মিটফোর্ড, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা ডেন্টাল কলেজের প্রশ্নপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধান ও তাদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ট্রাংকে ঢুকিয়ে তালা মেরে স্বাস্থ্য অধিদফতরেই রাখা হচ্ছে। কাল সকালে এগুলো বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।তিনি জানান, যেসব গাড়িতে প্রশ্নপত্র বহন করা হচ্ছে সেগুলোর সঙ্গে বিশেষ ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস সংযোগ করা রয়েছে যার মাধ্যমে গাড়িগুলোর অবস্থান ট্রাকিং করা সম্ভব হচ্ছে। গাড়িগুলো কখন, কোন রাস্তা দিয়ে কতদূর যাচ্ছে, ভেতরে যারা আছেন তারা কে কি করছে সব দেখা যাবে। যে ট্রাংকে তালাবদ্ধ অবস্থায় যে প্রশ্নপত্র রাখা আছে সে ট্রাংকের তালায় কেউ আঙ্গুল স্পর্শ করলেই তা অধিদফতরের মনিটরে দেখা যাবে বলে তিনি জানান।অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, নজীরবিহীন নিরাপত্তার কারণে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগই থাকবে না। আজ সন্ধ্যার পর থেকে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী পরীক্ষা হলের আশপাশের ফটোকপি মেশিন বন্ধ করে দেবে।ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ কিংবা গতি কমিয়ে দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক জানান, তারা ইন্টারনেট গতি কমানোর জন্য আবেদন করেছেন তবে গতি কমবে কিনা সে সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। ব্যাপক নিরাপত্তার কারণে ইন্টারনেটের গতি না কমালেও সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি।