প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে জাতি দেশের জন্য জীবন দিতে পারে তাঁরা কখনো পিছিয়ে থাকতে পারে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যাবে। আজকে সব দিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে।শনিবার বিকালে গণভবনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লায়ন্স ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় বাংলাদেশকে বাজেটের জন্য বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভর করতে হত। এখন বাজেটের ৯০ শতাংশ আসে নিজস্ব অর্থায়ন থেকে। মুদ্রাস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনে মনোনিবেশ করি। কিন্তু ২০০৮ সালে ফের ক্ষমতায় এসে দেখলাম বিদ্যুৎ উৎপাদন যেখানে রেখে গিয়েছিলাম সেখান থেকে কমে গেছে। আমি বুঝলাম না কিভাবে সেটি কমে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ফের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করলাম। যার ফলে বর্তমানে ৯৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায়। ২০২১ সালে দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে।বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁরা শুধু লুটপাট করতে জানে। তাঁরা জানে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করতে, মানুষ মারতে। এদের হাতে রক্ত লেগে আছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। পাকিস্তান নামক দেশটি আমাদের শোষণ করতো। আমাদের প্রতি বঞ্ছনা করতো। পাকিস্তান আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করতো। সেই বৈষম্য থেকেই জাতির পিতা দেশকে স্বাধানী করেছিলেন।তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান সব সময় আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করেছেন । বিশেষ করে সব খাত এটা করেছে। আর বৈষম্য নিরসে জাতির পিতা সংগ্রাম করেছেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য দীর্ঘ মেয়াদি চিন্তা থাকতে হয়। আর এজন্য ১০০ বছরের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আমরা দারিদ্র্যের হার কমাতে সক্ষম হয়েছে। এখন দারিদ্র্যের হার ২১ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।তিনি আরও বলেন, দেশকে আমাদের উন্নয়ন করতে হবে। আমরা জঙ্গিদমন করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে চেয়েছিলাম। সেটা আমরা করেছি।