চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় সরকার ৬ লাখ ৯০ হাজার ৯শ’ ৭০ জন কৃষককে ৭৯ কোটি ৯৯ লাখ ৮২ হাজার ৪শ’ ৯৫ টাকার বীজ ও সার দিচ্ছে। এর আওতায় ৬৪ জেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা ১১টি ফসলের জন্য পরিবার প্রতি সর্বোচ্চ ১ বিঘা জমির জন্য বিনা মূল্যে বীজ এবং রাসায়নিক সার ডিএপি ও এমওপি পাবেন।

রোববার (৭ অক্টোবর) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এ তথ্য জানান। সবিচালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, চিনাবাদাম, ফেলন, খেসারি, বিটি বেগুন, বোরো ধান, শীতকালীন মুগ ও পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন, মৃগ ও গ্রীষ্মকালীন তিল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রণোদনার মাধ্যমে পরিবার প্রতি সর্বোচ্চ ১ বিঘা জমির জন্য বিনামূল্যে বীজ এবং রাসায়নিক সার ডিএপি ও এমওপি দেওয়া হবে। এই প্রণোদনার আওতাভুক্ত জমির পরিমাণ ৬ লাখ ৯০ হাজার ৯শ’ ৭০ বিঘা। এই প্রণোদনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী বলেন, উল্লিখিত ১১টি ফসল আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করা, আবাদ এলাকা বৃদ্ধি করা, উল্লিখিত ফসলগুলোর হেক্টর প্রতি ফলন বৃদ্ধি, সার্বিকভাবে খাদ্যশস্য এবং ডাল, তেল ও সবজি জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য এই প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।

সরকারের এ প্রণোদনার আওতায় গমের ক্ষেত্রে উপযোগী কৃষকের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৭শ’ জন। ভুট্টার ক্ষেত্রে উপযোগী কৃষক ২ লাখ ২১ হাজার ৫শ’ জন, সরিষার ক্ষেত্রে ২ লাখ ১০ হাজার ২শ’ জন, চীনাবাদামের ক্ষেত্রে ১০ হাজার ১শ’ জন, গ্রীষ্মকালীন তিলের ক্ষেত্রে ১৮ হাজার জন, গ্রীষ্মকালীন মুগের ক্ষেত্রে ৪৮ হাজার ৪শ’ জন, শীতকালীন মুগের ক্ষেত্রে ২৪ হাজার ৩শ’ জন, খেসারির ক্ষেত্রে ১৩ হাজার ৬শ’ জন, ফেলনের ক্ষেত্রে ৫ হাজার ৪শ’ জন, বিটি বেগুনের ক্ষেত্রে ২ হাজার ৭০ জন, বোরো ধানের ক্ষেত্রে ৭১ হাজার ৭শ’ জন।এই প্রণোদনার বিষয় তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকের পাশে থেকে সাধ্যমত সহায়তা দিয়ে আসছে। এ লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও কৃষি মন্ত্রণালয় এই প্রণোদনা দিচ্ছে। এ প্রণোদনা কার্যক্রমে মঞ্জুরি করা অর্থ কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ হতে সংকুলান করা হবে। এজন্য কোনো অতিরিক্তি অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন হবে না।