ভোলায় আর এক সপ্তাহ পরেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব সার্বজনীন দুর্গাপূজা। ভোলা জেলায় এ বছর ১০৭ টি পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর ভোলা জেলার সাত উপজেলায় সর্বমোট ১০৭ মন্ডপে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এরমধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ২৫টি, দৌলতখান ৬টি, বোরহানউদ্দিনে ২০টি, তজুমদ্দিনে ১২টি, লালমোহনে ২০, মনপুরায় ৯টি এবং চরফ্যাশনে ১৫টি মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের তুলানায় এ বছর ৪টি পূজা বেড়েছে। ভোলার পূজা মন্ডপগুলোতে উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে গেছে। চলছে মন্ডপগুলোতে শেষ সময়ের সাজানোর প্রস্তুতি। দিনরাত ব্যস্ততম সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমা তৈরীর কারিগররা। মনের মাধুরী মিশিয়ে কারিগররা ফুটিয়ে তুলছেন ঐতিহ্যের নানাদিক।

দূর্গা পূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠানই নয়, এটি এখন সার্বজনীন একটি অনুষ্ঠান। ধর্মীয় উদ্দেশ্য সাধনের পাশাপাশি এই পূজার মূল আকর্ষণ প্রতিমা এবং পূজা মন্ডপ দর্শন। তাই কারিগরদের সব মনোযোগ থাকে আকর্ষণীয় একটি প্রতিমা এবং মন্ডপ তৈরীর দিকে। প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষ। চলছে রঙ তুলির আচড়ের খেলা। রঙে রঙে সজ্জিত হয়ে প্রতিমা বসবে মন্দিরে ভক্তদের মনবাসনা পূরণে। প্রতিমা দর্শনের মন্দির তো যেন তেন হলে চলবে না। তাই কারিগররা তৈরী করছেন বাহারী মন্দির। একের পর এক প্রতিমা তৈরী করছেন কারিগররা। তবু নেই কোন ক্লান্তি। বরং নিজেদের মধ্যে চলে প্রতিযোগিতা। আর তাই এবছর ভোলার ওয়াষ্টেন পাড়ায় তৈরী করা হয়েছে ১০১ হাতের প্রতিমা।

কারিগর জমজমাট এই উৎসব চলাকালে যেন কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই সদর সহ গ্রামাঞ্চলের মন্দিরগুলোর জন্য বিশেষ সহযোগিতা চাইলেন আয়োজকরা। এব্যাপারে ভোলার পুলিশ সুপার মো: মোকতার হোসেন বলেন, কেউ ধর্মীয় সম্প্রতিতে আঘাত কারা সুযোগ পাবে না। হিন্দু সম্প্রদায় নির্বিঘেœ তাদের উৎসব উৎযাপন করতে পারবে। আমরা সদা তৎপর থাকবো। মন্ডপগুলোকে অধিক ও সাধারন ঝুকিপূর্ন হিসাবে গন্য করে প্রতিটি মন্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, সাদা ও পোশাকধারী পুলিশে মোতায়েন থাকবে।