চীনের কাছ থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪৮টি সামরিক ড্রোন কিনতে যাচ্ছে পাকিস্তান। গত সপ্তাহে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ চুক্তির পরপরই এমন ঘোষণা দিল চীন। সামরিক এক পর্যবেক্ষক বলছেন, পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে এটি হবে সবচেয়ে বড় চুক্তি। বেইজিংয়ের এক দাপ্তরিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ‘উইং লুং ২’ নামে মানবহীন ওই এয়ারক্রাফট উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং শত্রুর অবস্থান শনাক্ত করে আঘাত হানতে সক্ষম। চেংদু এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি এগুলো নির্মাণ করেছে। তবে চুক্তির ব্যয়ের বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। ‘উইং লুং ২’ ৪৮০ কেজি ওজনের যুদ্ধ উপকরণ নিয়ে ২০ ঘণ্টা আকাশে উড়তে পারবে।

এ দিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ভ্রুকুটি অগ্রাহ্য করে গত ৫ অক্টোবর অত্যাধুনিক দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ কেনার চুক্তিতে সই করে ভারত ও রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভারত সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে চুক্তিটি করেন। প্রায় ৪০ হাজার কোটি রুপির এই চুক্তি ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে আটটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।চীন এক ঘোষণায় জানায়, রাশিয়ার কাছ থেকে ভারত ‘এস-৪০০’ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই তৎক্ষণাৎ পাকিস্তানকে উচ্চক্ষমতার এসব ড্রোন কেনার অনুমতি দিয়েছে চীন।

গ্লোবাল টাইমস’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রোববার পাকিস্তান বিমানবাহিনীর অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে চীনা ড্রোন অধিগ্রহণের চুক্তির বিষয়টি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে চুক্তির ব্যয় কত, তা উল্লেখ করা হয়নি। ‘উইং লুং ২’ ড্রোনগুলো যখন পাকিস্তানকে সরবরাহ করা হবে তখন ব্যয়ের তথ্য প্রকাশ করা হবে।এর আগে চীনের রাষ্ট্রপরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, গত বছরের ফেব্র“য়ারি মাসে ‘উই লুং ২’ প্রথমবারের মতো আকাশে ওড়ে। এই যানের জন্য এরই মধ্যে সবচেয়ে বড় চুক্তি গ্রহণ করেছে চীন।