ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আমি নিশ্চিত যে আমাদের ডিজিটাল দুনিয়া যত সম্প্রসারিত হবে, অপরাধের মাত্রাও তত বাড়বে এবং ততবেশি প্রয়োজন অনুভব করবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের। অথচ আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যখন করলাম তখন আমাদের তুলা ধুনা করা হল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার ফেক আইডির জন্য আজকে সাধারন ডায়েরী (জিডি) এন্ট্রি করেছেন। এতোদিনে তিনি টের পাচ্ছেন যে এ আইনটা কতোটা জরুরী, দরকার ছিল।

শুক্রবার বিকেলে গাজীপুর মহানগরের ছয়দানা এলাকায় ফাইভ স্টার মোবাইল ফোন কারখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিসির) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহিরুল হক, কমিশনার আমিনুল হাসান, মহাপরিচালক নাসিম পারভেজ, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি মনিরুল হক, ফাইভস্টার মোবাইল কারখানার চেয়ারম্যান অলিউল্লাহ, হেড অব বিজনেস অপারেশন বশির উদ্দিন প্রমূখ।

মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা আশা করছি নবেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আমাদের সক্ষমতা তৈরি হবে, যাতে আমরা পুরোটা মিটআপ পারি। অতএব অসহায়ের মতো বসে থাকার মতো অবস্থাতে আমরা এখন বিরাজ করি না। আইনগত কাঠামো ছিল না। এটা একটা দূর্বলতা ছিল। প্রযুক্তিগত যে সক্ষমতা অর্জন করা দরকার বাংলাদেশ এখন সেই জায়গায় সক্ষম হয়েছে। ফেসবুকের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক আছে কোন ফেক আইডি যদি থাকে আমরা চিহ্নিত (আইডিয়েন্টিফাই) করতে পারি। সেটা যদি রিপোর্ট করা হয় ফেসবুক আমাদেরকে এটা সরিয়ে ফেলতে সহযোগিতা করে। আমরা কেবল ফেসবুকের উপর নির্ভরশীল থাকব না। আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা থাকছে।

মন্ত্রী বলেন, যন্ত্রাংশ আমদানি করতে যে কর কাঠামো থাকবে, তার চাইতে বেশি কর থাকবে যদি আমরা পূর্ণ যন্ত্রটা আমদানি করি। এটা আমরা নিশ্চিত করেছি। আমরা এসব প্রতিষ্ঠানটিকে যদি হাইটেক পার্ক ঘোষণা করি, তাহলে তারা ১০বছরের কর রেয়াত পাবে। প্রথম সাত বছর পাবে শতভাগ এবং পরের তিন বছর পাবে ৭০শতাংশ।

প্রধান অতিথি বলেন, বিদেশী যে সকল পণ্য বা ব্র্যান্ড আছে, আমরা তাদের সঙ্গে শুধু প্রতিযোগিতা নয়, আমাদের দেশীয় ব্র্যান্ড সারা বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে। আমরা দেশে সেই ধরনের পরিস্থিতিটা বা অবস্থা তৈরি করেছি। সেজন্য আজ বিদেশীরা আমাদের দেশের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। মন্ত্রী কারখানার বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং কারখানার পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

কারখানার চেয়ারম্যান অলিউল্লাহ জানান, ২০হাজার বর্গফুটের আল আমিন এন্ড ব্রাদার্সের ফাইভ স্টার মোবাইল কারখানায় হ্যান্ড সেট সংযোজন, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ, নিয়ন্ত্রণ বিভাগ এবং টেস্টিং ল্যাব রয়েছে। কারখানাটিতে পাঁচশ জন মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। প্রাথমিকভাবে বছরে ১৮-২০লাখ ইউনিট হ্যান্ডসেট উৎপাদন করা হবে। এরই মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে ৫-৭টি প্রোডাকশন লাইন।