এখন থেকে গাজা উপত্যকায় আর কোনো জ্বালানি সরবরাহ করবে না ইসরায়েল। শুক্রবার ইসরায়েল সংলগ্ন গাজা সীমান্তে চলা বিক্ষোভে দেশটির সেনা এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ফিলিস্তিনিদের করা হামলার ঘটনায় এমন সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েল। শনিবার এ জ্বালানি সরবরাহ বন্ধের বিষয়ে নির্দেশ দেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, শুক্রবার ‘দ্য গ্রেট মার্চ অফ রিটার্ন’ শীর্ষক সাপ্তাহিক বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এর আগে, নিজেদের পিতৃপুরুষের ভূমিতে ফেরত যাওয়ার অধিকারের দাবিতে চলতি বছরের ৩০ মে থেকে প্রতি শুক্রবার সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে আসছে গাজার ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা।

এদিকে লিবারম্যানের কার্যালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের এমন কোনো পরিস্থিতি সহ্য করবে না যেখানে একদিকে গাজায় জ্বালানি সরবরাহ করা হবে আর অপরদিকে তারা ইসরায়েলি সেনা এবং দেশটির নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংসতা চালাবে।উল্লেখ্য, গাজায় মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘর্ষ প্রতিরোধ করতে গত মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে কাতারের কেনা জ্বালানি সরবরাহ শুরু হয়েছে।এ প্রসঙ্গে হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম উল্লেখ করেন, গাজার বৈদ্যুতিক অবস্থার আংশিক উন্নতি ঘটাতে উপত্যকার বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাতারের জ্বালানি ব্যবহার করা হবে।