মিয়ানমারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বিজিবি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আলোচনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তারা সব কিছুই স্বীকার করে, কিন্তু কাজ হল সম্পূর্ণ উল্টা। আজ পর্যন্ত ইয়াবা বন্ধ হয়নি। বরং আরও বেশি চালান পাঠানো হচ্ছে। সেই সাথে ইয়াবা প্রস্তুতকারী যেসব রোহিঙ্গা ছিল, তাদেরও চালান দেওয়া হয়েছে।বাংলাদেশে বর্তমানে মাদকের মধ্যে ইয়াবা ট্যাবলেটের কথাই সবার আগে আসে। এই ইয়াবা আসে মূলত মিয়ানমার থেকে। ইয়াবা পাচার বন্ধে মিয়ানমার সরকারের সহায়তা চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না বলে বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুরো বিষয়টি ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে আমু বলেন, এটা মিয়ানমারের একটা বিরাট ষড়যন্ত্র। কারণ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সমুদ্রসীমা জয় করেছেন, এটা কিন্তু আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে এ সমুদ্র সীমানা পেয়েছি। এতে সমুদ্রের নিচের বিশাল খনিজ সম্পদ মিয়ানমারের বেহাত হয়েছে।এই জিনিসটা হাতছাড়া হওয়ার কারণেই তারা আমাদের ওপর বেশি ক্ষুব্ধ বলে আমি মনে করি। এই কারণে বারবার তারা বিভিন্ন কথা দিয়ে তারা কথা রাখছে না এবং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের দেশের তরুণ সমাজকে বিপথগামী করবার জন্যই তারা এই অভিযানটা চালাচ্ছে। সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ইয়াবা নিয়ে মিয়ানমারকে দায়ী করে বক্তব্য দেন আমু। বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে বিএসটিআই সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানটি হয়।পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্যের অবস্থান শক্তিশালী করতে বিএসটিআইর প্রতি আহ্বান জানান আমু।
তিনি বলেন, বিএসটিআই জাতীয় পর্যায়ে একমাত্র মান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের উপর গুণগত শিল্পায়ন এবং জনগণের জীবনের সুরক্ষার বিষয়টি নির্ভর করে। এ বিবেচনায় আমাদের সরকার বিএসটিআইর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।শিল্পমন্ত্রী জানান, সরকার জেলা পর্যায়ে বিএসটিআইর কার্যক্রম সম্প্রসরণের উদ্যোগ নিয়েছে। এতে জনগণের মাঝে পণ্য ও সেবার মান বিষয়ক সচেতনতা এবং মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনে বিএসটিআইর তদারকি দুটোই বাড়বে।অনুষ্ঠানে বিএসটিআইর মহাপরিচালক সরদার আবুল কালাম বলেন, বিএসটিআইর কয়েকটি ল্যাবরেটরি এবং প্রোডাক্টস সার্টিফিকেশন ও ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সার্টিফিকেশন দেশ ও বিদেশের আন্তর্জাতিক সংস্থা হতে এ্যাক্রিডিটেশন লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে বিদেশে বিএসটিআই’র মানসনদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে।তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য ১৪৪টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। সম্প্রতি ভারত সরকার রপ্তানির উদ্দেশ্যে ২১টি পণ্যের জন্য বিএসটিআই হতে প্রদত্ত সার্টিফিকেটকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বিনা পরীক্ষায় ভারতের বাজারে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। আরও ৬টি পণ্যের ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে ।