মাহাবুব রহমান দুর্জয় একজন শিক্ষিত তরুণ, যিনি খুব অল্প বয়সেই সমাজসেবা, মানবকল্যাণ ও মেধাবী তরুণ সংগঠক হিসেবে সর্বমহলে পরিচিতি পেয়েছেন। চট্টগ্রামের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আবহাওয়ায় যার বেড়ে উঠা। জ্ঞান বুদ্ধি বাড়ার সাথে সাথে তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মকান্ডের সাথে নিয়োজিত থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন। তার অবদানে সমাজের বিভিন্ন অসমাজিক ও অপরাধ মূলক কাজ যেমন শিশু নির্যাতন, বাল্য-বিবাহ, যৌতুক প্রথা, মাদক সেবন ও বিক্রি বন্ধ রোধে গণ সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছেন।সমাজের প্রতিটি মানুষের বিপদে-আপদে সুখে-দুঃখে তিনি নিঃস্বার্থভাবে পরিপূর্ণ একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তরুণ সমাজের কাছে আদর্শ ও নৈতিকতায় পরিপূর্ণ একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তরুণ সমাজকে মাদক ও সকল প্রকার অপরাধ মুলক কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখতে তার অনেক সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। তার চিন্তা চেতনায় দেশ জাতি ও মানব কল্যাণের চিহ্ন পাওয়া যায়। যার ধারাবাহিকতায় বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শতভাগ শিক্ষা ও স্বাক্ষরতার হার বাস্তবায়ন করার ঘোষণাকে বাস্তবে রূপ দিতে হাসি-আনন্দ-উচ্ছলতায় ভরে উঠুক শিশুর জীবন” এই স্লোগান নিয়ে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাঁশে এসে দাঁড়িয়েছে তার নিজ উদ্যোগে ২০১৫ সালের ১৫ই ডিসেম্বর “চাইল্ড’স স্মাইল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ” নামের একটি শিশু অধিকার সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।

এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করা। সংগঠনটি ইতিমধ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্প, যেমন- বিনামূল্যে বই বিতরণ, শীতার্ত শিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে ঈদবস্ত্র বিতরণ, ঈদ উৎসব উদযাপন, বৃক্ষরোপন ও বৃক্ষ বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন। বর্তমানে দেশের ৩২ জেলা এবং শতাধিক উপজেলা, কলেজ ও অন্যান্য শাখা কমিটি রয়েছে। এই শাখা কমিটিগুলো সুবিধাবঞ্চিত, গরীব, অসহায়, অস্বচ্ছল, দুঃস্থ, এতিম ও শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণের মধ্য দিয়ে শিশুর হাসি পাঠশালা নামে বিনামূল্যে নিয়মিত পাঠদান কর্মসূচি চলমান রেখেছেন। সংগঠনের বিনামূল্যে পাঠদান কর্মসূচির আওতায় দেশের প্রায় ২০০০ (দুই হাজার) জন এর অধিক শিক্ষাবঞ্চিত শিশুরা নিয়মিত ভাবে লেখা-পড়া করার সুযোগ পাচ্ছে। সংগঠনের নেতাকর্মীরা খোলা আসমানের নিচে রাস্তার উপর তাদের পাঠদান কর্মসূচি নিয়মিত ভাবে পরিচালনা করে যাচ্ছেন। যার উদ্যোগে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং যার হাত ধরে সংগঠনের একঝাঁক শিক্ষিত তরুন এ শিক্ষা কার্যক্রম নিয়মিতভাবে পরিচালনা করে চলেছেন তাঁরা এখনও পর্যন্ত ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সরকারের কোন প্রকার সহায্য সহযোগিতা ছাড়াই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের এই মহৎ কর্মকান্ডে সরকারের পাশাপাশি সমাজের উচ্চ-বিত্ত ও অর্থশালী ব্যাক্তিদের সাহায্য সহযোগিতার পাশাপাশি আপনার আমার আমাদের সকলের সামান্যতম ভালবাসায় বদলে যেতে পারে সমাজের এসকল সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ভবিষ্যৎ জীবন। তাই আসুন অনেক না, সামান্য খুবই সামান্য একটু সহযোগিতার হাত বাঁড়াই। অসহায় শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখি। আশা রাখি আপনাদের সকলের সাহয্য-সহযোগিতা এবং সঠিক পরামর্শে “চাইল্ড’স স্মাইল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সংগঠনটি একদিন বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি খুসি ও জীবনমান উন্ননয়নে কাজ করতে পারবে।

আমাদের দেশকে উন্নত করতে, উন্নত জাতি হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে সকল সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্মসূত্রে নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন চাই, করতে হবে। শিশুদের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন করতে না পারলে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা অসম্ভব হয়ে পড়বে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় তাদের জীবনমান উন্নয়ন করার লক্ষে বঞ্চিত অসহায় শিশুদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন সামান্য খাবার, কিছু জামা-কাপড়, ঘুমানোর জন্য একটু যায়গা। পাশাপাশি তাদের শিক্ষার জন্য বই, খাতা, কলম আর সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে চিকিৎসা। কিন্তু বঞ্চিত এসকল অসহায় শিশুরা নাগরিক মৌলিক অধিকারের একটিও পাচ্ছে না। শিশুদের জন্য বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা নিয়মে অনিয়মে লুণ্ঠিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। নিয়মের নামে সারা দেশে ধারাবাহিক ভাবে চলে এসব অনিয়ম। এই অনিয়মের বিরুদ্ধে যারা কাজ করে তারাও এই অনিয়মের তালিকাভুক্ত।

বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নত হচ্ছে ঠিকি কিন্তু আমাদের দেশের অনেক শিশুরাই এখনো নাগরিক মৌলিক অধিকার বঞ্চিত। এই সকল অধিকার বঞ্চিত শিশুরা রাস্তায় পাশে বাস বা রেল স্টেশনে। এসকল কারণে বঞ্চিত শিশুরা অসুখবিসুখে অপুষ্টিতে ভুগতে থাকে, যে কারণে শিশু মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়। দেশে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা থাকলেও বঞ্চিত এসব শিশুরা সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে সব সময় বঞ্চিতই বয়ে যায়। বঞ্চিত এসব অসহায় শিশুরা বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন প্রকার ঝুঁকি পূর্ণ কাজ করে থাকে। শিশুরা এসব ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যেমন- কারো হাত-পা, কারো চোখ ও শরীরের অন্যান্য অংশ নষ্ট বা বিকলাঙ্গ হওয়া ইত্যাদি। আবার অনেক সময় অসহায় এসকল শিশুরা শিশুরা শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে। কখনো কখনো এসব শিশুরা ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকে। সুবিধাবঞ্চিত এসকল শিশুদের প্রতি সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাঝে মাধ্যে কেউ কেউ এগিয়ে আসলেও একসাময় তারাও মুখ ফিরিয়ে নেয়। যে কারণে, সুবিধাবঞ্চিত এসকল অসহায় শিশুরা আশ্রয় প্রশ্রয় না পেয়ে ক্ষুধার জ্বালায় পেটের তারনায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পরে। শিশু বয়সেরই তারা হয়ে উঠে অপরাধী, যেখান থেকে তাদেরকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়ে উঠে না। কোন একসময়ে তারা হয়ে যায় কুখ্যাত দাগী সন্ত্রাসী, সেই সন্ত্রাসীরার এক সময়ে নিরপরাধ মানুষের জীবনে ভায়াবহতা সৃষ্টি করে তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলে। কেউ জন্ম থেকে অপরাধী হয়ে জন্মে না। পরিবেশ পরিস্থিতিই মানুষকে অপরাধ করতে বাধ্য করে। শিশুরা আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ একথা অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই। প্রতিটি শিশুই আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ।আসুন আমরা সকলে মিলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখি, হাসি আনন্দ উচ্ছলতায় তাদের জীবন সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে সহযোগিতার হাত বাড়াই। আমাদের দেশকে উন্নত করতে, উন্নত জাতি হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে সকল সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্মসূত্রে নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন চাই, করতে হবে। শিশুদের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন করতে না পারলে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা অসম্ভব হয়ে পড়বে। সুতরাং অবহেলায় নয় ভালোবাসায় সুবিধাবঞ্চিত অসহায় শিশুদের জীবনধারা পাল্টানোই হোক আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য।