ধর্ম যার যার,উৎসব সবার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সবাই যার যার অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাই আসুন, সবাই মিলে আমরা এই দেশকেও একসঙ্গে গড়ে তুলি।’ সোমবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর টিকাটুলী রামকৃষ্ণ মিশনে শারদীয় দুর্গোৎসবে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত। এখানে সবাই যার যার ধর্ম পালন করবো। প্রত্যেকটি উৎসবে সবাই ভাই-বোনের মতো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ উৎসবটা আমরা উদযাপন করে যাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নত হোক, সমৃদ্ধশালী হোক, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ, ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ হোক। এটাই ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। শেখ হাসিনা বলেন, আমি বাবা-মা-ভাই—সব হারিয়েছি। কিন্তু আমরা দুই বোন বেঁচে আছি। আমাদের জীবনে একটাই লক্ষ্য, বাংলাদেশটাকে আমরা গড়ে তুলবো। বাংলার দরিদ্র মানুষকে ক্ষুধা-অন্ন-বস্ত্র-চিকিৎসা-শিক্ষার ব্যবস্থা করে প্রত্যেকের জন্য একটা উন্নত জীবন দেবো।
শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের দিনে এখানে আসতে পেরে সত্যিই আমি খুশি। আগামীকাল দেশের বাইরে যাচ্ছি। কাজেই চিন্তা করলাম, যাওয়ার আগে অন্তত আপনাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে যাই।সরকার প্রধান বলেন, সুষ্ঠুভাবে এই উৎসব সম্পন্ন হোক। উৎসবমুখর পরিবেশে সমপন্ন হোক। সেটাই আমরা চাই। কারণ অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়েই এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। বাংলাদেশ সেই আদর্শ নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এই দেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ। অনুষ্ঠানে রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের স্বামীজী ধ্র“বাবেশানন্দ প্রধানমন্ত্রীর হাতে শারদীয় শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য হোসেন তওফিক ইমাম।