২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় বাতিল ও তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দকে বাদ দিয়ে নতুন করে তদন্ত করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় বাতিল করতে হবে এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আবদুল কাহার আকন্দকে বাদ দিয়ে নিরপেক্ষভাবে আবার তদন্ত করে পুনরায় বিচার কার্যক্রম শুরুর জোর দাবি জানাচ্ছি।বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সত্য ঘটনাকে মিথ্যা হিসেবে অভিহিত করা আর মিথ্যাকে সত্য বলা আওয়ামী লীগের আদর্শিক চেতনা। জনগণকে তারা এতটাই অপাংক্তেয় মনে করে যে, তাদের ধারণা, তাদের ধোঁকাবাজি জনগণ টের পাবে না।

বিএনপির এ নেতা বলেন, ২০০৪ সালের ১৭ আগস্ট আওয়ামী লীগ মুক্তাঙ্গনে সমাবেশের জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে অনুমতি গ্রহণের পর পুলিশের কাছে মাইক ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদন করে। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ মুক্তাঙ্গনে ১৯ আগস্ট সমাবেশের লিখিত অনুমতি দেয়। তবে রহস্যজনক ও গভীর সন্দেহের বিষয় হলো, মুক্তাঙ্গনে পুলিশের অনুমতি নিয়ে কেন ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করা হলো?সাবেক এ ছাত্রনেতা বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড বোমা হামলা নিয়ে শুরু থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আচরণ, বক্তব্য ও মন্তব্য সামঞ্জস্যহীন ও রহস্যাবৃত। মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগ তিনদিন ধরে প্রচার-প্রচারণা চালাল, আর ২১ আগস্ট সমাবেশের দিন হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল করে কেন দলীয় অফিসের সামনে গেল? এতে কারো বুঝতে বাকি থাকে না যে, এর মধ্যে কোনো দুরভিসন্ধি কাজ করেছে।

রিজভী আরো বলেন, পুলিশ যখন দেখল তাদের না জানিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করছে তখন মতিঝিল থানার ওসি নিয়মমাফিক একটি জিডি করে। অল্প সময় হাতে পেলেও পুলিশের নিয়ম অনুযায়ী সেখানে যায়। কিন্তু মামলার বিচারিক কার্যক্রমে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি বিবেচনায় আনা হয়নি, অথচ ফরমায়েশি রায় চাপিয়ে দেওয়া হলো। আইন, বিচার ও প্রশাসনকে প্রতিহিংসা পূরণের হাতিয়ার করে আওয়ামী লীগের ক্রমান্বয়ে দানবীয় আত্মপ্রকাশ জাতির জীবনপ্রবাহ রুদ্ধ করার অভিঘাত।২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পুনরায় বিচার দাবি ছাড়াও দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার নিয়েও কথা বলেন রিজভী। বলেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে সরকার তত বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করছে। গতকালও সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।