অপশক্তির অসুর বধের প্রতিজ্ঞায় দুর্গোৎসবের মহানবমী তিথিতে দুর্গতিনাশিনী দেবীর আরাধনা করছে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে ভক্তরা দেবীর চরণে অর্পণ করছেন পুষ্পাঞ্জলী ।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি বলেন, শ্রীরামচন্দ্রের অকাল বোধনই আজ শারদীয় দুর্গোৎসব। সেদিন রামচন্দ্র অশুভের প্রতীক রাবণ বধের নিমিত্তে দেবী দুর্গাকে আবাহন করেছিলেন। ঠিক তেমনিভাবে আমরাও মনের ভেতর ও বাইরের অসুর বধের আশায় মায়ের কৃপা প্রার্থনা করব।নির্মল চ্যাটার্জি বলেন,গোটা পৃথিবীতে অস্থিরতা। আজ বাদে কাল আমরা মায়ের প্রতিমা বিসর্জন দেব, তারপর করব বিজয় উৎসব। অশুভের বিপরীতে শুভের বিজয় সূচিত করতে আমরা মায়ের কাছে প্রার্থনা করছি।

একদিন আগেই নরসিংদীর মেহেরপাড়া ইউনিয়নের শেখেরচর ও মাধবদীর দুটি বাড়িতে জঙ্গি দমন অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।তাতে দুর্গোৎসবের আনন্দ উৎসবে কোনো বাধা পড়েনি বলে জানান মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগীরথপুর পূজা মণ্ডপের সদস্য প্রদীপ রায়।তিনি বলেন, আতঙ্ক থাকলেও র‌্যাব, পুলিশ আশ্বস্ত করেছিল আমাদের। নির্বিঘ্নে আসতে পেরেছেন পূজারীরা।নরসিংদীর চরদাউদপুর যুব সংঘের প্রধান পুরোহিত শঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, আজ আমরা দেবীকে ষোড়শ উপচারে বন্দনা করছি। তারপর মহাস্নান। দেবী আর মাত্র একদিন থাকবেন মর্ত্যে। মায়ের কাছে আমরা প্রার্থনা করছি, ধরায় যেন সর্বদা শান্তি বিরাজ করে। কোথাও যেন কোনো দ্বন্দ্ব-সংঘাত না বাধে।গত মঙ্গলবার সকালে নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপনের পর শুরু হয়েছিল মহাসপ্তমী পূজা, যা দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। বুধবার কুমারী পূজার পর হয় মহাঅষ্টমীর সন্ধিপূজা।বৃহস্পতিবার সকালে বিহিত পূজার মাধ্যমে হবে মহানবমী পূজা। শুক্রবার সকালে দর্পণ বিসর্জনের পর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।