পারফরম্যান্স ধারাবাহিক নয় কারণ দেখিয়ে যে সৌম্য সরকারকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মূল সিরিজ দেওয়া হলো, সেই সৌম্যই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে করলেন সেঞ্চুরি। তার সেঞ্চুরিতে ভর করেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় বিসিবি একাদশ।

বাংলাদেশের বোলিং ইনিংসের শুরুটা করেন এবাদত হোসেন চৌধুরী ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন। আর এদের হাতেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে নিজেদের ইনিংস শেষ করে জিম্বাবুয়ে। প্রথমে যেমন এই দুই বোলার উইকেট নেওয়া শুরু করেন মাঝের বোলাররা তেমন কিছুই করে দেখাতে পারেননি। শেষের দিকে তারা বল করতে এসে শেষ করে দেন জিম্বাবুয়ের ইনিংস। সাভারের বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা পরিষদের (বিকেএসপি) তিন নম্বর মাঠে সফরকারী জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ বিসিবি একাদশ।এবাদত এবং সাইফউদ্দীনের বোলিং তোপে মাত্র ১৭৮ রানেই অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। ২৮ বল বাকি থাকতেই ফিরে যান রাজা-মাসাকাদজারা। ম্যাচ জিততে ১৭৯ রান লক্ষ্য দাঁড়ায় বিসিবি একাদশের সামনে।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ক্রেইগ আরভিনকে (১) তুলে নেন এবাদত হোসেন। পরের ওভারের শেষ বলে সফরকারীদের অন্যতম ভরসা ব্রেন্ডন টেলরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সাইফউদ্দীন। আউট হওয়ার আগে মাত্র ৬ রান রান করতে পারেন টেলর।তৃতীয় উইকেটে উইকেটে সময় নেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও শন উইলিয়ামস। কিন্তু আবারও আঘাত হানেন এবাদত। ফেরান উইলিয়ামসকে। প্রথম স্পেলে ৫-২-৭-২ নিয়ে শেষ করেন এবাদত। দলীয় ২৮ রানে সিকান্দার রাজাকে ফেরান মোহর শেখ অন্তর। আর ৪৭ রানের মাথায় ইমরান আলীর বলে আউট হয়ে ফেরেন পিটার মুর। অধিনায়ক মাসাকাদজা এবং সাবেক অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা মিলে ২৮ ওভারে ১২৪ রানের জুটি করেন। কিন্তু দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই ৪৪তম ওভারে চিগুম্বুরাকে বোল্ড করে দেন সাইফউদ্দিন। ৪৭ রানে ফেরেন তিনি। তবে সেঞ্চুরি তুলে নেন মাসাকাদজা। ১৩৪ বলে ১৪ চার ও ১ ছক্কার মারে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশি সময় থাকতে পারেননি। এবাদত ফেরান তাকে।তার উইকেট নিয়ে নিজের পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন এবাদত। ৭.২ ওভার বোলিং করে ৩২ রান খরচায় তিন উইকেট নেন সাইফ। এছাড়া মোহর শেখ ও ইমরান আলী একটি করে উইকেট নেন।