মরিয়ম ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি বাসায় কাজ করেন ।দু’বছরের মত হল মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন ।আনোয়ার পাঠান যখন বরিশাল বিএম কলেজের ৩য় বর্ষে পড়েন তখন সুমাইয়া কে বিয়ে করেন।কয়েকদিন পরেই মা হবেন সুমাইয়া । সুমাইয়া মরিয়মের মেয়ে, বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ফ্লরে রাত কাটান মা মেয়ে দু’জন।আর দিনের বেলা তেও এখানেই বসে থাকেন ।আর মা কাজে বের হয়ে পড়েন ।

টিএসসি তে রক্তের জন্য এসেছে সুমাইয়া।ডাক্তার বলেছে অপারেশন করতে হবে ছয় ব্যাগ রক্ত প্রয়োজন হতে পারে, তাই রক্ত জোগাড় করে রাখতে ।  বিয়ের প্রথম বছরটা ভালোই কেটেছিল দু’জনের ।অনার্স লাইফের শেষ দিকে এসে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে আনোয়ার । খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করে সুমাইয়ার সঙ্গে ।সারাক্ষণ সিগারেট গাঁজা নিয়ে পড়ে থাকে ।এখন আর সুমাইয়ার খেয়াল খবর নেয় না সে ।

বরিশাল ছেড়ে শহরে আসতে হয়েছে অপারেশন করতে হবে, আলট্রাসনোগ্রাফি করতে হবে ।সুমাইয়া ,‘আমার হাতে একটি টাকাও নেই,খাবার টাকা ও নেই ।অপারেশন,আলট্রাসনোগ্রাফি…..।’ চেহারার অবস্থা ই তার পরিচয় বহন করছে।হয়ত বা আর মা হওয়া হবে না মেয়েটির ,চলে যাবে নিজেও……

লেখক ঃ মুহাম্মদ হাসান মাহমুদ ইলিয়াস
সাংবাদিক এবং শিক্ষার্থী,দর্শন বিভাগ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়