গাজীপুরে বৃহষ্পতিবার রাতে এক শ্রমিক কলোনীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে দ্বগ্ধ হয়ে এক সব্জি ব্যবসায়ী নিহত এবং তার শিশু নাতিসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। এঘটনায় অপর একজন নিখোঁজ রয়েছে। নিহতের নাম সবেদ মিয়া (৭০)। সে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার ১১ নং পাঁচগাছি ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরাবাদ সিরারপাড় এলাকার মৃত জাফর মুন্সির ছেলে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ আক্তারুজ্জামান ও নিহতের ভাগ্নে জহিরুল ইসলামসহ স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাসন সড়ক ঈদগাহ সংলগ্ন ভোগড়া দক্ষিণপাড়া এলাকার জরিনা বেগমের জমি ভাড়া নেন স্থানীয় স্বপন মিয়া নামের এক ব্যক্তি। স্বপন সেখানে ৩২টি কক্ষ নির্মাণ করে শ্রমিক কলোনী গড়ে তুলেন। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে ওই কলোনীর একটি কক্ষে রান্নার সময় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন মুহুর্তেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং পুরো কলোনীতে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ সময় আগুনে দগ্ধ হয়ে ঘুমন্ত সবেদ মিয়া মারা যান এবং তার নাতি শিমুল (৮) দগ্ধ হয়ে আহত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের জয়দেবপুর স্টেশনের দুটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায় এবং হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখান থেকে আশংকা জনক অবস্থায় শিশু শিমুলকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। আগুন নেভাতে গিয়ে স্থানীয় ৩জন আহত হয়েছে। তবে এ ঘটনার পর থেকে সবুজ মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবী করেছে। আগুনে ওই কলোনীর সব ক’টি কক্ষ মালামালসহ পুড়ে গেছে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ করছিল এবং নিখোঁজের সন্ধান করছিল।

নিহতের ছেলে গার্মেন্টস কর্মী মিজানুর রহমান জানান, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ওই কলোনীর ভাড়া বাসায় খেতে সবেদ মিয়া পার্শ্ববর্তী চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার আড়তে সব্জির ব্যবসা করতেন। ঘটনার সময় স্ত্রীকে দোকানে রেখে তিনি বিশ্রাম করতে বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।