১২ সংস্কারপন্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতাকে ফিরিয়ে নিল বিএনপি। তারা বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত গুলশানের বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন।
১২ সংস্কারপন্থী নেতা হলেন- সাবেক সাংসদ আলমগীর কবির, সাবেক হুইপ আবু ইউসুফ মোঃ খলিলুর রহমান, আবু হেনা, জিএম সিরাজ, সর্দার সাকোয়াত হোসেন বকুল, নজির হোসেন, ডা. জিয়াউল হক, আতাউর রহমান আঙ্গুর, ইলেন ভুট্টো, শফিকুল ইসলাম তালুকদার, শহিদুল আলম তালুকদার ও জহির উদ্দিন স্বপন।

পরে বৈঠক শেষে সংস্কারপন্থী নেতারা বলেন, বৈঠকে সক্রিয়ভাবে কাজ করার নির্দেশ পেয়েছি। নির্দেশনা অনুযায়ী একযোগে কাজ করে যাবো। আমরা দলে আছি, আগে ছিলাম এবং দলে থাকবো। দলের চেয়ারপারসন জেলে আছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিদেশে আছেন এবং সামনে নির্বাচন আছে। আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের মুক্ত করবো। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া বা সংসদ সদস্য হওয়া মূল বিষয় নয়, দলকে টিকিয়ে রাখাই আমাদের লক্ষ্য।
সংস্কারপন্থীরা বলেন, বৈঠকে চলমান জাতীয় সংকট, খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ সব নির্যাতিত নেতাকর্মীর মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সংস্কারপন্থীদের দলে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলকে সময়োপযোগী ও ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী ধারার ঐক্য নিশ্চিত করে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপিসহ সব গণতন্ত্রকামী দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এরই প্রেক্ষাপটে বিএনপি দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে সক্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছে। যার অংশ হিসাবে আজ দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে বেশ কয়েকজন সাবেক সংসদ সদস্যের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর।