কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ সংগ্রামীদের মিলন মেলার দিন শত্র“তা করে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। রোববার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ সংগ্রামীদের মিলনমেলার আয়োজনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা ইয়াহিয়ার জন্য রাস্তাঘাট বন্ধ করেছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার থাকতে ১৯৭৫ এর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ সংগ্রামীদের মিলন মেলার দিন রাস্তাঘাট বন্ধ করা হয়,পরিবহন বন্ধ করা হয়। এমন শত্রুতা আমি আমার জীবনে দেখি নাই।গত আগস্ট মাসে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে কাদের সিদ্দিকী এই মিলনমেলার আয়োজনের কথা বলেছিলেন। আজকের অনুষ্ঠানে সকাল থেকেই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা কর্মীরা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আসতে থাকে। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ সংগ্রামীদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

আজকের অনুষ্ঠানে অনেকেই কষ্ট করে এসেছেন উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আজকে সবকিছু বন্ধ। বাংলাদেশে এমন হয়, আমার জানা ছিল না। শাজাহান খান একদিকে শ্রমিক নেতা। আরেকদিকে সরকারের মন্ত্রী। আমি কারও সঙ্গে বিরোধ করতে যাইনি। কিন্তু ন্যায়ের প্রসঙ্গে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করতে যাইনি। আমি এটা কিছুতেই মানতে পারি না। কোনো ইন্ধন না থাকলে ঠিক বেছে বেছে ২৮ অক্টোবর সারা দেশে পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে।

প্রতিরোধ সংগ্রামীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বাধীন সরকার। এই সরকারকে বলতে হবে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করা ন্যায় না অন্যায়। তাঁদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। আর যদি না দিতে পারে তাহলে এই সরকারকে বলতে হবে, বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করে তাঁরা অন্যায় করেছে। তাঁদের বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন, তাঁদের জন্য জাতীয় সংসদে তিনবার শোকপ্রস্তাব দিলেও তা গ্রহণ করা হয়নি।

এই মিলন মেলার জন্য কাদের সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেওয়ার কথাও জানান। কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়া পাননি। তিনি বলেন, যদি এই প্রতিরোধ সংগ্রামীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দেওয়া হয়, তাহলে এত দিন মুখ বুজে থাকলেও আর মুখ বুজে থাকব না।মিলন মেলা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, নাসরিন সিদ্দিকী ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানসহ প্রমুখ।