গাজীপুরে তুচ্ছ ঘটনার জেরে শনিবার রাতে এক মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাংচুর করেছে এক যুবক। এসময় ওই মন্দিরের সাধারণ সম্পাদককে মারধর করেছে সে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসি ওই যুবককে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। গ্রেফতারকৃতের নাম একরামুল হক রনি (৩৭)। সে গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়ীয়া ইউনিয়নের বড় কয়ের এলাকার মৃত রাজ্জাক ভ’ইয়ার ছেলে।

গাজীপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মহসিন কবির ও মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি শীতল চন্দ্র দাসসহ স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়ীয়া ইউনিয়নের বড় কয়ের এলাকার শীতল চন্দ্র দাসের বাড়িতে শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষ্মচারী লক্ষ্মী মন্দিরে লক্ষ্মীপূজার শেষদিন শনিবার পূজা অর্চনা চলছিল। বিকেলে ওই মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কেশব চন্দ্র দাসের আত্মীয় এক দম্পতি বেড়াতে গিয়ে বাড়ির পাশে এক জমির আইল ধরে হাটছিল। এসময় প্রতিবেশী যুবক রনি তাদের বাঁধা দেয় এবং অশালীন ভাষায় বকাঝকা করে। কেশব এঘটনার প্রতিবাদ জানায়। এর জের ধরে রাত ৮টার দিকে (পূজা কার্যক্রম বিরতির সময়) রনি ওই মন্দিরে হানা দিয়ে লক্ষ্মী পুজার জয়া প্রতিমার ডান হাত, বিজয়ার বাম হাত ও পেঁচা প্রতিমা ভেঙ্গে ফেলে। এসময় বাঁধা দিলে কেশব চন্দ্র দাসকেও মারধর করে রনি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসি রনিকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জনরোষ থেকে আহত রনিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

জয়দেবপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, রনিদের সঙ্গে কেশবদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে লক্ষ্মীপূজার প্রতিমা ভাংচুর ও মন্দিরের এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই কেশব চন্দ্র বাদি হয়ে রনিসহ চারজনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩-৪জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন এবং রনি নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।