সব ইহুদিরই মরা দরকার’, চিৎকার করে এমন কথা বলার পর যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গ শহরের একটি সিনাগগে গুলি চালিয়ে ১১ জনকে হত্যা করেছে এক শ্বেতকায় বন্দুকধারী।স্থানীয় সময় শনিবার সকালে পেনসালভ্যানিয়া অঙ্গরাজ্যের ওই শহরটির সিনাগগে প্রার্থনারত ইহুদিদের ওপর হামলাটি হয়, এতে পুলিশসহ আরও ছয় জন আহত হয়েছেন; খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। পুলিশের সোয়াত টিমের সঙ্গে গোলাগুলির পর আহত অবস্থায় বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তার নাম রবার্ট বাওয়ার্স এবং তার বয়স ৪৬ বছর বলে জানানো হয়েছে। ফেডারেল কৌঁসুলিরা তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের ২৯টি অভিযোগ এনেছে, এরমধ্যে সহিংসতা, আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত অভিযোগ ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগও আছে।

তদন্তের নেতৃত্বে থাকা পিটসবার্গ এফবিআইয়ের স্পেশাল এজেন্ট বব জোন্স এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, বাওয়ার্স একাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।শনিবারের ঘটনার আগে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বাওয়ার্সকে চিনত না বলে জানিয়েছেন তিনি।পুলিশের কয়েকটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে কেডিকেএ টেলিভিশন জানিয়েছে, বন্দুকধারী হেঁটে সিনাগগ ভবনে প্রবেশ করে চিৎকার করে বলে ‘সব ইহুদির মরা দরকার।জোন্স জানিয়েছেন, বাওয়ার্সের কাছে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল ও তিনটি পিস্তল ছিল।তিনি জানান, কর্তৃপক্ষের ধারণা সন্দেহভাজন সিনাগগে প্রবেশ করে প্রার্থনারতদের খুন করে সিনাগগ থেকে বের হওয়ার পর উর্দিধারী এক পুলিশ কর্মকর্তারা মুখোমুখি হয়ে যান। তারা পরস্পর গুলি বিনিময় করেন এবং সোয়াত টিম আসার আগেই বাওয়ার্স একটি ভবনে ঢুকে পড়ে, এরপর কিছুক্ষণ গোলাগুলির পর সে আত্মসমর্পণ করে। কয়েকটি গুলির আঘাতে জখম বাওয়ার্সকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে বিপদমুক্ত ঘোষণা করা হয়।হামলায় আহতদের স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬১ বছর বয়সী এক নারী, ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ পুরুষ ও ৫৫ বছর বয়সী এক পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।এ ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ও একজন শার্পনেলের আঘাতে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আহত ছয় জনের মধ্যে দুই জনের অবস্থা সঙ্কটজনক।