রাজধানীর বনশ্রীতে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মিজান নামের এক বিদ্যুৎকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত এ বিদ্যুকমীর বাড়ী পিরোজপুর জেলায়।সোমবার দুপুরে রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় ১১ কেভি বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করতে গিয়ে এ র্দূঘটনা ঘটে।

এদিকে,বনশ্রীতে বিদ্যুৎকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় ডিপিডিসির সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মতিন ও ফোরম্যান মুজিবুর নামের দুইজনকে রাতে বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এ খবর মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন ডিপিডিসির পরিচালক অপারেশন হারুন অর রশিদ।

জানা যায়, গত ৩০ জুন ২০১৮ পর্যন্ত বনশ্রী ডিভিশনের বাৎসরিক আপদকালীন ঠিকাদার হিসেবে ইথান এন্টারপ্রাইজ নিয়োজিত ছিল। পরবর্তীতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাৎসরিক কাজের দরপত্র না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ঐ ডিভিশনের সহযোগী ঠিকাদার হিসেবে আলাউদ্দিন নিয়োজিত ছিলেন। নিহত মিজান এনার্জি প্যাক কোম্পানির কর্মচারী ছিলেন। সোমবার তার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় বনশ্রী ডিভিশনের সহযোগী ঠিকাদার আলাউদ্দিনের তত্বাবধানে বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করতে আসলে এ দূঘর্টনা ঘটে বলে মুঠোফোনে ফোকাস বাংলা নিউজকে এ তথ্য জানান আলাউদ্দিন।

তিনি আরো জানান, বনশ্রী ডিভিশনের নিবার্হী প্রকৌশলীর নির্দেশেই সংশ্লিষ্ট ডিভিশনের কারিগরি টিমের সঙ্গেই নিহত মিজান নিয়োজিত ছিলেন। তবে নিহত মিজান এনার্জি প্যাক কোম্পানির কর্মচারী হয়ে কিভাবে ডিপিডিসির ঐ ঠিকাদারের সঙ্গে কর্মরত ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে ইথান এন্টারপ্রাইজের বক্তব্য নিতে মুঠোফোনে কাউকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে, সংশ্লিষ্ট ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হাসনুর রহমান মুঠোফোনে বক্তব্য নিতে গেলে তিনি রাগান্বিত হয়ে এ প্রতিবেদককে জানান, মিজান কিভাবে মারা গেছে এটা কোন বিষয় বস্তু নয়। এ বিষয়ে আমি আপনাকে কোন প্রকার তথ্য দিতে বাধ্য নই। ডিভিশনের বাৎসরিক ঠিকাদার আছে, কি নাই, তার সাথে মৃত্যুর কোন সর্ম্পক নেই। বরং আপনি পরিচালক অপারেশনের সঙ্গে কথা বললেই আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। আর আমি এখন খুব ব্যস্ত আছি বলে মুঠোফোন কেটে দেন।

অন্যদিকে, সংস্থাটির পরিচালক (অপারেশন) হারুন অর রশিদ মুঠোফোনে জানান,আমরা এ বিষয়টি অবগত হয়েছি । ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয়ের নির্দেশে আমি দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটির রির্পোট হাতে আসলে যদি কেউ দায়ী থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।