গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলায় রায়েদ ইউনিয়নের বিবাদিয়া গ্রাম ও শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় থেকে এ দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়। দুজনের কারোর পরিচয় জানা যায়নি।

কাপাসিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই)শফিকুল ইসলাম ও স্থানীয় রায়েদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বোরহান উদ্দিনের ভাষ্যমতে, উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের বিবাদিয়া গ্রামের শিশুরা মঙ্গলবার বিকেলে খেলতে গিয়ে স্থানীয় এলাহী মুন্সীর বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ের বাঁশের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচানো এক যুবতীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। নিহতের পরনে কামিজ থাকলেও তাঁর সালোয়ার ও ওড়না মাটিতে পড়ে ছিল। তাঁর বয়স হবে ২০-২২ বছর।কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই যুবতীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ সেখানে ঝুলিয়ে রেখে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে গেছে। তাঁর শরীরে আঘাত ও জখমের একাধিক চিহ্ন রয়েছে।তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, ময়নাতদন্তের পর তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এদিকে, একই উপজেলার তারাগঞ্জ এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পার হতে সন্ধ্যায় পুলিশ অপর এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন কাপাসিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মনিরুজ্জামান। পরিদর্শক আরো জানান, আনুমানিক ৩৪ বছর বয়সের ওই নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহতের চোখের ওপর ও কানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। দুর্বৃত্তরা ওই নারীকে হত্যা করে লাশ সেখানে ফেলে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।