আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিকল্পধারার পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও সংলাপে বসতে রাজি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, দেখি কারা কারা আগ্রহী। তবে সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি ৪, ৫ বা ৬ নভেম্বর তফসিল (জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা) হয়ে যায়, এরপর কী করে আলোচনা হবে?

এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত টমাস প্রিনজ ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি আন বোখতা। মন্ত্রী জানান, দুই রাষ্ট্রদূতই প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের এই উদ্যোগকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছেন।জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করার কারণে এই সংলাপের ফল নিয়ে বিএনপি মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংশয় প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ রায় আওয়ামী লীগ সরকার দেয়নি, প্রধানমন্ত্রীও দেননি। আইনি বিষয়ের সঙ্গে সংলাপের সম্পর্ক নেই। তবে এ বিষয়টি নিয়ে সংলাপে আলোচনার পথে বাধা নেই।

মন্ত্রীর প্রতি সাংবাদিকদের আরও প্রশ্ন ছিল সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী যে আমন্ত্রণপত্র দিয়েছিলেন, সেখানে তিনি বলেছেন, সংবিধানসম্মত বিষয়ে আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত। ঐক্য ফ্রন্টের সাত দফা দাবির কিছু বিষয় সংবিধানের সঙ্গে মেলে না। সে ক্ষেত্রে সংলাপের ফল কী হতে পারে?এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেহেতেু এটি সংলাপের আলোচ্য বিষয়। কাজেই সেখানে সেটা আলোচনার সুযোগ আছে। তাই রেজাল্ট আসার আগে কেন মন্তব্য করব? রেজাল্ট কী আসবে, তা বলতে পারব না। আগাম মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে চাই। তিনি জানান, ওই সাত দফার মধ্যে একটি দফায় যে দাবি রয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনের বিষয়।ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের উদ্যোগ দলমত–নির্বিশেষে বেশির ভাগ মানুষ সমর্থন করছেন। এমনকি সরকারের সমালোচক পত্রিকাগুলোও এটিকে ইতিবাচক উল্লেখ করে সম্পাদকীয় লিখেছে।