কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেছেন, দেশের কারাগারগুলোতে বর্তমানে প্রায় ৯২হাজার বন্দি রয়েছেন। তারা এ সমাজেরই অংশ। একদিন হয়ত তারা এখান থেকে সমাজে ফিরে যাবেন। ৯২ হাজার কারাবন্দিদের নিরাপরাধ করে দেয়ার এবং তাদেরকে মনের মধ্যে মনস্তাত্বিক পরিবর্তন করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাও আমাদের দায়িত্ব। আমরা চাইনা একজন ক্ষুদ্র অপরাধী যেন একজন বড় অপরাধী হয়ে সমাজে ফিরে না যায়। তারা নিজেদের সংশোধন করে যেন নতুন জীবন শুরু করতে পারে সেই ব্রত কারাকর্মকর্তা ও রক্ষীদের নিতে হবে। বন্দিদের শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি তাদের প্রতি মানবিক আচরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুরে কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সের প্যারেড গ্রাউন্ডে ৫৩তম কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ রিক্রুটদের শপথ গ্রহণ ও সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওইসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্ণেল মো. ইকবাল হাসান। তিনি খোলা জীপে করে প্যারেডমাঠ প্রদক্ষিণ ও প্রশিক্ষণার্থীদের সালাম গ্রহণ করেন।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর সিনিয়র জেল সুপার ও প্রধান প্রশিক্ষক সুব্রত কুমার বালা জানান, রাজশাহী ও কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে ৬মাস মেয়াদি এ প্রশিক্ষণে ২৮৪জন পুরুষ এবং ৩৬জন মহিলা কারারক্ষীসহ মোট ৩২০জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন। কুচকাওয়াজের প্যারেড অধিনায়ক ছিলেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. মনির হোসেন।

পরে প্রধান অতিথি প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সর্ববিষয়ে প্রথম হওয়ার জন্য রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের মো. মাসুদ রানা, দ্বিতীয় হওয়ার জন্য মাদারীপুর জেলা কারাগারের মোছা. সুমা আক্তার এবং বেস্ট ফায়ারার নির্বাচিত হওয়ার জন্য রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী মো. বিপ্লব হোসেনের হাতে ক্রেষ্ট তুলে দেন।