প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সব দলের অংশগ্রহণে আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চাই, যেন জনগণ তাদের নেতৃত্ব খুঁজে নিতে পারে। কিভাবে সেই নেতৃত্ব খুঁজে নিতে পারে, সেটার চূড়ান্ত একটা ব্যবস্থা করাটাই আমাদের লক্ষ্য। শুক্রবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনের ব্যাংকুয়েট হলে যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় শেখ হাসিনা বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত না থাকলে উন্নয়ন সম্ভব না। এ ধারা অব্যাহত থাকুক এবং উন্নয়নের গতি সচল থাকুক, এটাই আমরা চাই।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতির পর আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের সঙ্গে যুক্তফ্রন্টের বৈঠক শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপের মতো শুক্রবারও ১৪ দলীয় জোটের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে যুক্তফ্রন্টের নেতৃত্বে রয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

সংলাপে উপস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের অন্য নেতারা হলেন— দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, আবদুল মতিন খসরু, কাজী জাফরুল্লাহ, ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মণি, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। তাদের সঙ্গে আছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও মঈনুদ্দিন খান বাদল, সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া এবং ওয়াকার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন।

এছাড়া বি চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতীয় যুক্তফ্রন্টের বিভিন্ন দলের ১৫ নেতা হলেন-বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী, গোলাম সারোয়ার মিলন, আবদুর রউফ মান্নান, প্রকৌশলী মুহম্মদ ইউসুফ, সহসভাপতি মাহমুদা চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, সাবেক সংসদ সদস্য এইচএম গোলাম রেজা, বিএলডিপির সভাপতি নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ন্যাপের সভাপতি জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তুজা, জাতীয় জনতা পার্টির সভাপতি শেখ আসাদুজ্জামান।