ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের দ্বিতীয় দিনে এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে বসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।তিনি বলেছেন, যাতে জনগণ তাদের নেতৃত্ব খুঁজে নিতে পারে, কীভাবে তা খুঁজে নিতে পারে সেটাই লক্ষ্য।তফসিল ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, সংসদ ভেঙে দেওয়া, ইসি পুনর্গঠন, ইভিএম ব্যবহার না করা ও ভোটে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে আসে যুক্তফ্রন্ট্রের ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

বিরোধী দলগুলোর এসব দাবি মানা সম্ভব নয় বলে আসা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা অনেকটা আকস্মিকভাবেই সংলাপে বসতে রাজি হন। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সংলাপের সূচনা হয়।প্রধানমন্ত্রী বলে আসছেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় সংবিধানসম্মত যে কোনো বিষয়ে আলোচনার জন্য তার দুয়ার রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য খোলা।যুক্তফ্রন্টের নেতারা সন্ধ্যায় গণভবনে ঢুকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ উপস্থিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরে ব্যাংকোয়েট হলে ঢুকে নির্ধারিত আসনে বসেন।

সন্ধ্যা ৭টা ৪২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকোয়েট হলে ঢুকলে বিকল্প ধারার বদরুদ্দোজা চৌধুরী, আবদুল মান্নান ও শমসের মবিন চৌধুরী তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক। উন্নয়নের ধারা সচল থাকুক। অনেক ঘাত প্রতিঘাত বাধা অতিক্রম করে আমরা গণতান্ত্রিক ধারা অবাহত রেখেছি।শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নের ধারা অবাহত থাকুক, সেটাই আমরা চাই।এরপর যুক্তফ্রন্টের ২১ নেতার সঙ্গে রুদ্ধদ্বার আলোচনা করেন শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে ছিলেন ক্ষমতাসীন জোটের ২২ নেতা।সংলাপে বিকল্প ধারার সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্টের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিকল্পধারার নেতা আবদুল মান্নান, শমসের মবিন চৌধুরী, গোলাম সারোয়ার মিলন, আবদুর রউফ মান্নান, ইঞ্জিনিয়ার মুহম্মদ ইউসুফ, সহসভাপতি মাহমুদা চৌধুরী, মাহবুব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক ও নির্বাহী সদস্য সাবেক এমপি মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী; সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম রেজা; বিএলডিপি সভাপতি নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন; বাংলাদেশ ন্যাপের সভাপতি জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া; ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান (এনডিপি) খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা, মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ইশা; বাংলাদেশ জনতা পার্টির সভাপতি শেখ আসাদুজ্জামান; জনদলের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী; হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ইউনাইটেড মাইনরিটি ফ্রন্টের সভাপতি দীলিপ কুমার দাশ এবং লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী।