বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম আর নেই। রোববার (৪ নভেম্বর) বিকাল ৫টায় রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। এসময় তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সাবেক এই মন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। গত একমাস ধরে তিনি অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।তরিকুল ইসলাম ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারে প্রথমে সমাজকল্যাণমন্ত্রী এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে আসার আগে তিনি সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।তরিকুল ইসলামের মৃত্যুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। সন্ধ্যা ৭টায় তরিকুল ইসলামের মরদেহ তার ঢাকার শান্তিনগরের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বজনরা দেখার পর রাতে বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে মরদেহ।

সোমবার সকাল ১০টায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে,১১টা ১৫ মিনিটে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এবং বাদ আসর যশোর ঈদগাহ মাঠে তরিকুল ইসলামের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর যশোরে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।

তরিকুলের মৃত্যুতে সোমবার শোক পালন করবে বিএনপি।ওই দিন দেশব্যাপী বিএনপির কার্যালয়ে কালো পতাকা তোলা হবে, নেতা-কর্মীরা বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করবে।অসুস্থতার কারণে গত কয়েক বছর ধরে দলীয় কার্যক্রমে অনেকটাই অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে শেষবার তিনি অংশ নেন গত ফেব্র“য়ারিতে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে।

যাশোর থেকে চার বার নির্বাচনে জিতে সংসদে যাওয়া তরিকুল চারদলীয় জোট সরকারের তথ্যমন্ত্রী এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারে তিনি প্রথমে সমাজকল্যাণ এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন।বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে আসার আগে তিনি সহসভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।