আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়ার একাংশ) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থী হাজী ইউনুছ আলী। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সাক্ষাৎ, ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা, সভা-সমাবেশ, গণসংযোগ, মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা, দলীয় নানা কর্মসূচী পালন অব্যাহত রেখেছেন তিনি। নির্বাচনী এলাকাতে তার অনুসারীরা রংবেরংয়ের ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড, টাঙ্গিয়ে দিয়েছে। তাঁর পক্ষে চলছে প্রচার-প্রচারণা। এলাকাবাসীদের মতে, বিএনপির নির্বাচনে গেলে এবং নির্বাচন সুষ্ঠু হলে এই আসনে হাজী ইউনুছ আলীর বিকল্প কোন প্রার্থী নেই।

হাজী ইউনুস আলী বিএনপি’র সহযোগী সংগঠন কেন্দ্রীয় তাঁতী দলের সহসভাপতি ও পাবনা জেলা বিএনপি’র সদস্য। তিনি রাজনীতিতে সক্রিয়তার পাশাপাশি একজন বড় মাপের একজন ব্যবসায়ী। শিল্পপতি হাজী ইউনুস আলী এলাকায় তিনি দানবীর, শিক্ষানুরাগী, দাতা, প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ইতোমধ্যে যথেষ্ঠ সুনাম অর্জণ করেছেন। হাজী ইউনুর আলীর পারিবারিক পরিচিতি ব্যাপক রয়েছে এলাকায়। একজন সুশিক্ষায় শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে দেশ ও জনগনের উন্নয়নের কথা চিন্তা করেই তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চান। হাজী ইউনুস আলী বলেন, আমি এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই সব সময়। এই উদ্দেশ্যেইে এলাকায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমার প্রাণ প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবারের নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দিলে আর আমি সাধারণ মানুষের মূল্যবান ভোটে নির্বাচিত হলে এলাকার বেকার সমস্যা সমাধান, পোষাক ও পাট ভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপন, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় প্রকল্প গ্রহণ, দেশনেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ঐতিহাসিক কর্মসূচী বনায়ন, পর্যটন শিল্পে প্রসার, চাষযোগ্য আবাদী কৃষি জমি রক্ষা, রেলপথ ও নৌপথ স্থাপন এবং মাদক ও নেশামুক্ত নির্বাচনী এলাকা উপহার দিতে চাই।

পরপর ৪ বার শ্রেষ্ঠ করদাতার পুরস্কার অর্জনকারী শিল্পপতি হাজী ইউনুস আলী ইতোমধ্যে এলাকায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ, মাদরাসা, ইসলামী শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান, এতিমখানা, স্কুল-কলেজের একজন পৃষ্ঠপোষক, সংগঠক ও প্রতিষ্ঠাতা। তিনি হাজী কিসমত আলী কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে ফ্রি ফাইডে ক্লিনিক, রাহিমীয়া মাদ্রাসা ও এতিখানাসহ নানা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাসহ নানা কাজের পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে সমাজসেবী, দারিদ্র বিমোচনে দানবীর হিসেবে এলাকায় খ্যতি ও সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি রূপসা কেমিক্যাল গ্রুপের চেয়ারম্যান বলে জানা গেছে।