সিলেটের পর এবার ঢাকায় জনসভা করবে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট।মঙ্গলবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ জনসভার অনুমতি পেয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় জনসভার অনুমতি চাইতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ে যায় তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। তাঁরা ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে সভার অনুমতি চান। পরে ডিএমপির পক্ষ থেকে ঐক্যফ্রন্টকে জনসভার অনুমতি প্রদানের কথা জানানো হয়।অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ।

বিএনপির এই নেতা জানান,ডিএমপি সোহরাওয়ার্দীতে শান্তিপূর্ণ জনসভার অনুমতি দিয়েছে। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।এদিকে জাতীয় নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী বুধবার দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গত ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণভবনে প্রথম দফার বৈঠক শেষ হলেও সংলাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে ৩ নভেম্বর ফের প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেয় ঐক্যফ্রন্ট।

গত শুক্রবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ সাত দফা দাবি আদায়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৬ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করতে চায় বলে জানান।বিএনপি, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্য নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ ঘটে। নতুন জোটের সাত দফা দাবির মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বাতিল, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার নিশ্চয়তা প্রদানের কথাও বলা হয়েছে। এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সঙ্গে সংলাপ হয় ঐক্যফ্রন্টের।