বর্তমানে আমাদের দেশের যুব সমাজের অধঃপতনের অন্যতম কারণ হচ্ছে মাদকাসক্তি। মাদকাসক্তির ভয়াল থাবা প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজকে ধ্বংস করে ফেলছে। দেশব্যাপী মাদকদ্রব্যের বিস্তাররোধ এবং দেশের যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র‌্যাবের মাদক বিরোধী অভিযান দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ কর্তৃক বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এ বৎসর ০১ জানুয়ারি ২০১৮ হতে অদ্য ০৬ নভেম্বর ২০১৮ ইং তারিখ পর্যন্ত সর্বমোট ৩০২ টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রসহ মোট ৩১ টি ম্যাগাজিন এবং ১০,১০৭ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি/কার্তুজ উদ্ধারের পাশাপাশি ৪৬ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩৯৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২৪ হাজার ৫৩৫ বোতল ফেন্সিডিল, ৬,৬৯২ বোতল বিদেশী মদ ও বিয়ার, ০৮ লক্ষ ২৫ হাজার ২০৭ লিটার দেশীয় তৈরী মদ, ৮৩৪ কেজি ৫০১ গ্রাম গাঁজা, ০৭ কেজি ৬৫০ গ্রাম আফিম এবং ০২ কেজি হেরোইন উদ্ধার করেছে।

এরই ধারাবাহিকতায়, র‌্যাব-৭, টেকনাফ ক্যাম্পের গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী টেকনাফ হতে একটি মাইক্রোবাস যোগে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ০৬ নভেম্বর ২০১৮ ইং তারিখ ০৬:৩০ ঘটিকার সময় লেঃ মির্জা শাহেদ মাহতাব (এক্স), বিএন এর নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন টেকনাফ সরকারী ডিগ্রী কলেজের সামনে টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের উপর একটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি করতে থাকে। এ সময় টেকনাফ হতে কক্সবাজারগামী ০১ টি বিদেশী এনজিওর স্টিকারযুক্ত মাইক্রোবাসের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র‌্যাব সদস্যরা গাড়িটিকে থামানোর সংকেত দিলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তৎক্ষনাত মাইক্রোবাসটিকে রাস্তার পাশে থামিয়ে ০১ জন ব্যক্তি বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় র‌্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে আসামী মীর কাশেম (৩০), পিতা- আবু সৈয়দ, গ্রাম- মিঠাইছড়ি, থানা-মহেশখালী, জেলা-কক্সবাজার’কে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিতি সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীর দেহ তল্লাশি করে ৩,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীকে আরো ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তার দেখানো ও সনাক্ত মতে উক্ত মাইক্রোবাসটি তল্লাশি করে মাইক্রোবাসের তৈলের ট্যাংকির ভিতরে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় ১,১২,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সর্বমোট ১,১৫,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় এবং উক্ত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক মূল্য ০৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা এবং জব্দকৃত মাইক্রোবাসটির আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষ টাকা। উল্লেখ্য যে, জানা যায় গ্রেফতারকৃত আসামী গাড়িতে এ ধরনের ভূয়া স্টিকার লাগিয়ে দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার করে আসছে এবং ইতোপূর্বে এ ধরনের স্টিকার লাগিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের সময় র‌্যাব-৭ এর নিকট বহুবার ধরা পড়েছে। পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় হন্তান্তর করা হয়েছে।

কোম্পানী অধিনায়ক
র‌্যাব-৭, সিপিসি-২, কক্সবাজার