ওআইসি’র অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি)-এর ৩২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাজীপুর মহানগরীর বোর্ডবাজারস্থিত বিশ্ববিদ্যালর ক্যাম্পাসে বৃহস্পতিবার সকালে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইউটি’র প্রাক্তন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: আনোয়ার হোসেন।

আইইটি’র ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর ড. ওমর ঝাহ্ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠাণে ওআইসি’র মহাসচিব ও আইইউটি’র আচার্য ড. ইউসুফ বিন আহমেদ আল-ওথাইমিন-এর বাণী পাঠ করেন ওআইসির সহকারী মহাসচিব এম্বাসেডর মোহাম্মদ নাঈম খান। এতে বক্তব্য রাখেন আইইউটি’র গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হাবিব মিগাদে ও রেজিষ্ট্রার ড. মোশেবা উমর প্রমুখ।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পৌঁছলে আইইউটি’র উপাচার্য, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ এবং সিনিয়র শিক্ষকন্ডলী তাঁকে স্বাগত জানান। পরে প্রধান অতিথিসহ শিক্ষার্থীরা গাউন পড়ে আনুষ্ঠানিক সমাবর্তন শোভাযাত্রা সহকারে অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে হাজির হন।

সমাবর্তনে বাংলাদেশসহ ওআইসির অন্তর্ভূক্ত বিভিন্ন দেশের গ্রাজুয়েট সম্পন্ন ২৯৫ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন প্রধান অতিথি। এদের মধ্যে সর্বাধিক ডিগ্রিপ্রাপ্তরা হচ্ছেন বাংলাদেশের। অনুষ্ঠাণে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য নাইজেরিয়ার শিক্ষার্থী ফারুক বশির আয়রন বাবা ওআইসি স্বর্ণপদক এবং বাংলাদেশের তানভীর শাহরিয়ার, মাহির তাজওয়ার, বখতিয়ার হাসান ও মোসাদ্দিক হোসেনকে আইইউটি স্বর্ণপদক ও সনদ দেয়া হয়। এসময় প্রধান অতিথিকে আইইউটি’র ক্রেস্ট দেয়া হয়।

ওআইসি পরিচালিত আইইউটি ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সাফল্যের সঙ্গে মুসলিম বিশে^র বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান করে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের অধিনে চারটি বিভাগ রয়েছে সেগুলো হল, মেকানিকাল এন্ড ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলিট্রিকাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সাইন্স এন্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন অনুষদের অধিনে দুটি বিভাগ হচ্ছে, বিসনেস এন্ড টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট ও টেকনিক্যাল এন্ড ভোকেশনাল এডুকেশন। প্রতিবছরের সেপ্টম্বর-অক্টোবরে বাংলাদেশের ও ওআইসি ভুক্ত দেশের মুসলিম শিক্ষার্থীরা যারা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয় তারা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারে। আইউটিতে বর্তমানে বাংলাদেশসহ ১৯টি দেশের ২ হাজার বেশি শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত আছে।