গাজীপুরের শ্রীপুরে জেএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীকে নকল দিয়ে সহায়তার অপরাধে এক শিক্ষককে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও দুই হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সঙ্গে অপর এক শিক্ষিকাকে আজীবন পরীক্ষা কেন্দ্রে নিষিদ্ধ এবং পরীক্ষার্থীনীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেহেনা আকতার এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক হেলাল উদ্দিনকে (৫৫) দু’বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডা ও দুইহাজার টাকা অর্থদন্ডাদেশ দেওয়া হয়। তিনি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার লংগাইর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। পরীক্ষা কেন্দ্রে আজীবন নিষিদ্ধ অপর শিক্ষিকা ফেরদৌসী বেগম (৪০) একই বিদ্যালয়ের ইংরেজী বিষয়ের শিক্ষিকা এবং এক বছরের জন্য বহিস্কৃত পরীক্ষার্থী রুনা আক্তার স্থানীয় খোঁজেখানি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও খোঁজেখানি গ্রামের আকরাম আলীর মেয়ে।

শ্রীপুর পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব নাসির উদ্দিন জানান, বৃহষ্পতিবার জেএসসি পরীক্ষার গণিত বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন শ্রীপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় জেএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রের ১নম্বর কক্ষে গোসিঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হেলাল উদ্দিন ও ফেরদৌসী বেগম কক্ষ প্রত্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। একই কক্ষে খোঁজেখানি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী রুনা আক্তার পরীক্ষা দিচ্ছিল। পরীক্ষায় রুনা নকল করলেও ওই দুই শিক্ষক তা দেখলেও নকল প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নেননি। এসময় পরিদর্শণকালে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিনাত শারমিন হাতে নাতে ধরে ফেলেন। পরে তাদেরকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভ্রাম্যমান আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত তাদেরকে অভিযুক্ত সাব্যস্ত করে পাবলিক পরীক্ষা আইনের ১৯৮০ সনের ৯ ধারা মোতাবেক শিক্ষক হেলাল উদ্দিনকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও দুই হাজার টাকা অর্থদন্ড, ফেরদৌসী আক্তারকে পরীক্ষা কেন্দ্রে আজীবন নিষিদ্ধ ও পরীক্ষার্থী রুনাকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেন। পরে তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আকতার এব্যাপারে জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল সরবরাহ ও সহায়তা করার অপরাধে পাবলিক পরীক্ষা সমূহ অপরাধ আইন ১৯৮০-এর (৯) ধারা, মোতাবেক ওই তিনজনকে দন্ড প্রদান করা হয়েছে।