রাজশাহীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় লোকসমাগম ঠেকাতে কোন রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গত দুদিন ধরে ঢাকার সাথে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি আজ নাটোর থেকে রাজশাহীগামী বাসসহ সকল প্রকার যানবাহন যাওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এর দায় স্বীকার করছে না কেউ। এতে করে নেতাকর্মীরা যেমন জনসভায় যোগ দিতে পারছেন না, তেমনি চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রাজশাহীগামী সকল সাধারণ যাত্রী।

এদিকে, রাজশাহী জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের দাবি, রাজশাহীতে তাদের মহাসমাবেশ বানচাল ধরতে সরকারী দলের ইন্ধনে এমন অরাজকতার সৃষ্টি করা হয়েছে।শুক্রবার সকাল থেকে নাটোর থেকে রাজশাহী রুটে বাস চলতে দেয়া হচ্ছে না। তবে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী এবং নাটোরগামী সকল বাস ছেড়ে আসছে। এর আগে টানা ১৬ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার রাতে বাস মালিক এবং শ্রমিক সমিতি নাটোর থেকে সকল রুটে বাস ধর্মঘট তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয়। তবে আজ শুক্রবার সকাল থেকে অন্যান্য জেলার সঙ্গে বাস চলাচল শুরু হলেও শুধুমাত্র রাজশাহী অভিমুখে কোন বাস ও অন্য কোন যান ছেড়ে যেতে দেয়া হচ্ছে না। অন্যান্য জেলা থেকে আসা বাস নাটোর টার্মিনালে এসে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে মালিক ও শ্রমিক নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে কোনো মিল নেই। জেলা বাস ও মিনি বাস বাস মালিক সমিতির সভাপতি লক্ষণ পোদ্দার বলেন, এটি তাদের ব্যাপার নয়, সম্পূর্ণ শ্রমিকদের বিষয়। শ্রমিকরা আমাদের সম্মতি দেয়ার পরে গাড়ি চলাচল সকাল থেকে শুরু হয়েছে। তবে চালকরা বলেছেন, নাটোর থেকে শুধু রাজশাহীগামী বাস যেতে দেয়া হচ্ছে না। তাই তারা যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, মহাসড়কে থ্রি-হুইলারসহ কোন ধরণের অবৈধ যান চলতে দেয়া হবে না।এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সহ সভাপতি শহীদুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, রাজশাহীতে ঐক্যফ্রন্টের মহাসমাবেশ বানচাল করতে এমন অরাজকতা করছে সরকারী দলের লোকজন। তবে এটা করে সমাবেশে জনস্রোােত ঠেকানো যাবে না।