মনোনিত হলে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের বিপুল প্রত্যাশা নিয়ে ঢাকা -১৫ আসনের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন, কাফরুল থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফা। জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৫ আসনটি রাজধানীর মিরপুর, কাফরুল, ভাসানটেক ও শেরেবাংলা নগর থানা (আংশিক) এলাকা ও ঢাকা উত্তর সিটির ৪, ১৩, ১৪ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

এবার আওয়ামী লীগের সাতজন, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ লেবার পার্টি এবং স্বতন্ত্র একজন করে মোট ১২ প্রার্থী এ আসনটি থেকে নির্বাচন করবেন। ঢাকা-১৫ এলাকা ঘুরে স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার প্রার্থী হিসেবে জনসমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন জামাল মোস্তফা। ভোটারদের দাবি, যে নেতার কাছে তাদের সমস্যা নিয়ে সহজে হাজির হতে পারবেন তাকেই দলমত নির্বিশেষে তারা ভোট দেবেন। এ ছাড়া যিনি রাস্তা-ঘাট, আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন করবেন এমন নেতাকেই এবার এমপি হিসেবে নির্বাচিত করা হবে। জামাল মোস্তফা বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন।

এপ্রসংগে জামাল মোস্তফা বলেন, জনগণের ভালোবাসায় আমি ২৪ বছর ধরে ০৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এসুবাদে জনগণের ভালোবাসা আমাকে অনে কিছুই দিয়েছে। মনোনয়নপত্র কিনেছি। আমাকে দল থেকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করব। ঢাকা -১৫ আসনটিকে আধুনিকতর করতে করনীয় সব কিছুই করতে আমি সবসময় প্রস্তুত। তবে ব্যতিক্রম হলে দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে কাজ করব।

ঢাকা-১৫ আসনে প্রার্থী করার ভাবনা নিয়ে নির্বাচনী হিসাব-নিকাশ কষছে প্রতিদ্বন্দ্বী সব দল। সাংগঠনিক শক্তি আর সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডই গড়ে দেবে জয়ের ভিত্তি। এমনটাই দাবি করেছেন মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগ নেতারা। নানা কারনে জাতীয় সংসদের এ আসনের বর্তমান এমপি কামাল আহমেদ মজুমদারের সাথে ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের ও জনগণের সাথে বেশ দুরত্ব তৈরী হয়ে যাওয়ায় বিকল্প প্রার্থী খুঁজছেন ভোটাররা। পাশাপাশি আসনটিতে মনোনয়ন পেতে তৎপর মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু।

বিএনপি থেকে আছেন কারাবাসরত যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান। আরও আছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. শফিকুর রহমান। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সামসুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি হেমায়েত উল্ল্যাহ ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।