সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সকে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার রেকর্ডিং দিয়েছে তুরস্ক। একথা আবারও জানালেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়্যিপ এরদোয়ান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ফ্রান্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার দেশ ছাড়ার আগে তিনি একথা বলেন বলে জানায় তুর্কি গণমাধ্যম ইয়েনিসাফাক।

এরদোয়ান বলেন, জামাল খাশোগিকে হত্যার একদিন আগে তুরস্কে আসা ১৫ জনের মধ্যে কে তার হত্যাকারী তা জানে সৌদি আরব। এর আগে গত ২ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত তুর্কি প্রেসিডেন্টের এক নিবন্ধেও এসব কথা বলেন তিনি। এতে তিনি আরও বলেন, আমরা জানি সৌদি আরবে আটক ১৮ সন্দেহভাজন ব্যক্তির মধ্যে হত্যাকারী আছে এবং তারা শুধু আদেশ পালন করেছে। আমরা জানতে পেরেছি সৌদি সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেই খাশোগিকে হত্যার আদেশ দেয়া হয়।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, কেউ কেউ মনে করছে বিষয়টি একসময় সময়ের স্রোতে মিলিয়ে যাবে। কিন্তু আমরা প্রশ্নগুলো করেই যাব। খাশোগি খুন হওয়ার একমাস পরও আমরা জানি না তার মরদেহ কোথায়।

তিনি বলেন, অন্তত ইসলামের রীতি অনুসারে সমাহিত হওয়ার অধিকার আছে তার। এক্ষেত্রে আমরা তার পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে দায়বদ্ধ। সম্মানিত এই ব্যক্তিকে শেষ বিদায় এবং সম্মান জানানোর সুযোগ দেয়া উচিত তার পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের।

উল্লেখ্য, ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য প্রবেশ করে নিখোঁজ হন ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাশোগি। এরপর তুরস্ক দাবি করে তাকে দূতাবাসের ভেতরে হত্যা করা হয়েছে। সৌদি আরব প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে হত্যার কথা স্বীকার করে। তবে এখনও খাশোগির মৃতদেহের খোঁজ মেলেনি।