গাজীপুরে কলেজের ছাত্রদের হামলায় পুলিশের এক এএসআইসহ দুইজন আহত হওয়ার ঘটনায় রবিবার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ৩জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার আবুল কাশেমের ছেলে তোফায়েল আহমেদ ও একই উপজেলার ফজলুল হকের ছেলে ওয়াকিল নাসিফ। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এসি (ডিবি এন্ড মিডিয়া) রুহুল আমিন সরকার জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকাস্থিত ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের গেইট এলাকায় ওই কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে শনিবার বিকেলে সাধারণ লোকজনের সংঘর্ষ বাঁধে। ঘটনা চলাকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার কামরুল হাসান ও রজব আলী নামের দুই এএসআই সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এসময় ছাত্রদের হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন এএসআই মো. কামরুল হাসান। তাকে ঢাকার উত্তরায় বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এঘটনায় এএসআই রজব আলী বাদী হয়ে রবিবার বাসন থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৩জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন সৌরভ ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকাস্থিত ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের গেইট স্ট্যান্ড থেকে শনিবার বিকেলে কয়েক শিক্ষার্থীকে বাসে চড়তে বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পরিবহনের এক শ্রমিককে মারধর করতে থাকে। এসময় ওই পথদিয়ে যাওয়ার সময় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার কামরুল ইসলাম ও রজব আলী নামের দুই এএসআই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে এএসআই কামরুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। আহত এএসআই’কে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনার পর রাতে পুলিশ কলেজের হোষ্টেল ঘেরাও করে অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করে।

এব্যাপরে অধ্যক্ষ জেরিনা সুলতানা বলেন, ওই সংঘর্ষের পর পুলিশ রাতে আমাকে অবগত না করে কলেজ হোষ্টেল ঘেরাও করে অভিযান চালিয়ে কয়েক ছাত্রকে আটক করে। কলেজের হোষ্টেলে অভিযানের ব্যাপারে কেন জানানো হয়নি জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তাগণ অধ্যক্ষকে জানান, হোষ্টেলে মাদক-অস্ত্র রয়েছে এমন খবরের ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হয়েছে। আর মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে এ ধরণের অভিযানে অনুমতির প্রয়োজন হয় না।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান জানান, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এএসআই কামরুল মাথায় গুরুতর জখম হন। তিনি ঢাকার উত্তরায় বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।