প্রথমার্ধে পেনাল্টি মিস। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে হতাশা থেকে রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে হিগুয়েইনের লাল কার্ড। জুভেন্টাস গোলরক্ষকের দুর্দান্ত পেনাল্টি সেভ। রোনালদোর সহজ সুযোগ হাতছাড়া। ঘটনায় ঠাসা ম্যাচটি দুর্দান্তভাবেই জিতেছে ইতালিয়ান জায়ান্টরা। বল দখলের লড়াইয়ে জুভরা খুব বেশি এগিয়ে না থাকলেও জুভদের ২-০ গোলের জয়টা হয়েছে অসাধারণই।

ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই মানজুকিচের গোলে এগিয়ে যায় জুভেন্টাস। অ্যালেক্স সান্দ্রোকে অবশ্য একটা ধন্যবাদ দিতে পারেন জুভেন্টাসের ক্রোয়েশিয়ান এই ফরোয়ার্ড। সান্দ্রোর দুর্দান্ত ক্রস থেকে অসাধারণ হেডে বল জালে জড়ান মানজুকিচ। সিরি আতে মিলানের মাঠে এটি ছিল জুভদের ১০০তম গোল। গোল হজমের পর খেলায় ফেরার চেষ্টা করে মিলান। কিন্তু তাদের সামনে বারবার বাধা হয়ে দাঁড়ান জুভেন্টাসের গোলরক্ষক। প্রথমার্ধেই মিলানের সমতায় ফেরার সহজ সুযোগ হাতছাড়া হয় এই গোলরক্ষকের কারণেই। ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে স্বাগতিকেরা পেনাল্টি পায়। কপাল খারাপ থাকলে যা হয়! মিলানেরই তাই হয়েছে। হিগুয়েইনের দুর্বল শট বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে রুখে দেন জুভ গোলরক্ষক।

প্রথমার্ধে নিজের ছায়া হয়ে থাকা রোনালদো দ্বিতীয়ার্ধে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠেন। ৫৫তম মিনিটে সাবেক এই রিয়াল তারকাকে আটকে দেয় মিলানের রক্ষণ। পরের মিনিটেই পর্তুগিজ সেনার বাড়ানো বল থেকে শট নেন দিবালা। তার শট অবশ্য পোস্টে বাধা পেয়ে ফিরে আসলে গোল ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হয় অতিথিরা। ৬৮তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে একাই বল টেনে নেন রোনালদো। ডি বক্সের সামনে প্রতিপক্ষের রক্ষণের বাধার মুখে তাঁর আক্রমণ প্রতিহত হয়। রোনালদো গোলের দেখা পেয়েছেন খেলার প্রায় শেষ মুহূর্তে। ম্যাচের ৮১তম মিনিটে রোনালদোর গোলে ব্যবধান বাড়লে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন আলেগ্রার শিষ্যরা।