উপজেলার লৌহজংয়ে পদ্মাবহুমুখী সেতু প্রকল্পের। দোগাছি সার্ভিস এরিয়ায় বাস্তবায়নাধীন প্রাণী জাদুঘর সমৃদ্ধ হচ্ছে পরিবেশ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে। ২০১৬ সালে শুরুতে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ(সেতু বিভাগ,সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়)প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন করেছে।

জানাগেছে বর্তমানে সাড়ে ১৭শ’টির ও বেশি নমুনা সংগ্রিহিত হয়ে নানা প্রজাতির প্রাণী এখানে স্থান পেয়েছে । রোমগুলোর ভেতরে পাশা পাশি কয়েকটি পার্টিশন করে মৃতু এই প্রাণীগুলো এমনভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে, দেখলেই যেন মনে হয়, একেবারে জ্যান্ত প্রাণী। এখানে বিষাক্ত পদ্ম গোখরা সাপ থেকে শুরু করে নানা জাতের ব্যাঙ পর্যন্ত আছে এই জাদুঘরে। দিনে দিনে বাড়ছে জাদুঘরের সংগ্রহ। কর্তৃপক্ষের টার্গেট প্রায় ৫হাজার প্রাণীবৈচিত্র্য রাখার। জাদুঘরে প্রবেশ করলে বা দিকে তাকালে সাজানো প্রায় ২৫থেকে ৩০টি সাপের ভয়ঙ্কর আক্রমণাত্মক দৃশ্যের চোখে পড়বে।এখানে কাচের বক্্র ও একুরিয়ামের ভেতরে কয়েকটি ভয়ঙ্কর বিষধর মৃত্যু সাপগুলো। শরীরের খোলস হারিয়ে শুধু সাদা হাড়ের কংকাল বানিয়ে কাচের বাক্সে বন্দী করে রাখা আছে জেন মাত্র কংকালের মতোই রূপান্তর দেখতে। প্রথম পর্যায়ে জাদুঘরটির সংগ্রহ বাড়ানো এবং তার সংরক্ষণ নিয়েই বেশি মনোযোগী এখানকার কিউরেটরসহ মাঠকর্মীরা। এখন মাত্র ৩২ থেকে ৩৩ মাস পার হয়েছে। এরই মধ্যে জাদুঘরে এসেছে প্রায় ১৭শ’ প্রাণীবৈচিত্র্য। তবে এখনই এটি উন্মুক্ত নয় সাধারণের জন্য। এটি দেখতে হলে আরও প্রায় ২বছর অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাত আগামী ২০২০ শালের মধ্যে জাদুঘর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা এবং তার আশপাশের নানা জীববৈচিত্র্যকে টিকিয়ে রাখতে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে এগুলোর সঙ্গে পরিচিত করাতেই এই জাদুঘরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।তবে পদ্মা সেতুর জাদুঘর আরও বড় এবং পরিকল্পিতভাবে করা অতি জরুরী মনে হচ্ছে। যেন ভবিষ্যতে দেশের যে কেউ এবং বিদেশীরা এগুলো দেখতে পারেন। পদ্মাসেতু জাদুঘরের কিউরেটর ড. আনন্দ কুমার দাস এ প্রতিবেদক কে জানান, পদ্মা সেতু ও এ এলাকার প্রাণী জগত সংরক্ষণের তাগিদ থেকে তাদের সংগ্রহের একটি লক্ষ্য দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন বন্যপ্রাণী এবং সাপ, ব্যাঙ টিকটিকি, কচ্ছপ, হরিণ, ইঁদুর, সিয়াল,পোকামাকড়, প্রজাপ্রতির পাশাপাশি এ এলাকার ঐতিহ্যবাহী মাছ ধরার যন্ত্র ও বিভিন্ন ধরনের ডিংগী নৌকার মডেল জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। প্রাণী জাদুঘরটিতে বাস্তবায়নের জন্য ১৩ জন মাঠকর্মী। নিয়োযিত আছেন এ ছাড়া ১৩ জন কনসালট্যান্ট যাঁরা আছেন সকলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক। যাদের তত্বা বাধনে ও নিদ্রেশনায় জাদুঘর প্রকল্পের কর্ম কান্ড চলছে। এখানকার স্টাফ প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ হলে” বলেন পদ্মা সেতুর আশপাশে যেখানই কোন প্রাণী মারা গেছে, শুনলে সেখান থেকে আমরা গিয়ে নিয়ে আসছি।এদিকে পদ্মা সেতুর ঘিরে আশপাশের চিত্র যেন মন পাল্টে যাচ্ছে। চিত্র পাল্টাচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থারও। সেতু চালু হওয়ার আগেই এই অঞ্চলের এই পরিবর্তন আর পরে যে কি হবে তাই নিয়ে ভাবছেন অধিবাসীরা।পদ্মাসেতুর এই কর্মযজ্ঞের দোগাছি সার্ভিস এরিয়ায় বাস্তবায়নাধীন এলাকা থেকে প্রায় ১ কিলোমিটাার দূরের বাসিন্দা মোঃ হাজী আসরাফ হোসেন খান তিনি দীর্ঘদিন দেশের বাইরে ট্যুরে ছিলেন, বিশ্বের অনেক শহর সম্পর্কে তাঁর বেশ ধারণা রয়েছে।তিনি বলেন আমি মনে করি এই সেতু ঘিরে যে পরিবেশ এখানে তৈরি হচ্ছে সেটি বিশ্বের অন্যতম পর্যটন এলাকা হবে।