একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংসদীয় এলাকা ১০৪, খুলনা-৬ পাইকগাছা-কয়রা আসন। নৌকার টিকিট পেতে ১৭ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। অন্যদিকে সর্বশেষ তথ্য মতে বিএনপি’র ৪ ও জাতীয় পার্টি থেকে ২ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। বর্তমান সংসদ সদস্য, ছেলে ও নাতিসহ আওয়ামী লীগের ১৭ জন দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন।

জানা যায়, মনোনয়নপত্র বিক্রির দ্বিতীয় দিনে একই পরিবারের তিনজনের মধ্যে অ্যাডভোকেট শেখ মো. নূরুল হক, ছেলে শেখ মনিরুল ইসলাম এবং নাতি জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ও বিএমএর দফতর সম্পাদক ডা. শেখ মোহা. শহিদউল্লাহ দলীয় মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন। আওয়ামী লীগের অন্য ১৪ জনের মধ্যে রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব আলী সানা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী মোহাম্মদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতারুজ্জামান বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রশীদুজ্জামান মোড়ল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল, বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মাওলা, কেন্দ্রীয় ওলামা লীগনেতা আলমগীর হোসেন, সাবেক জেলা ছাত্রলীগনেতা কামরুল ইসলাম, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম মোহসিন রেজা, কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা ড. সুব্রত বাইন ও কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম।

বিএনপি থেকে যে ৪ জন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন তারা হলেন, খুলনা জেলা বিএনপি’র সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শামছুল আলম পিন্টু ও পাইকগাছা উপজেলা বিএনপি সভাপতি ডা. আব্দুল মজিদ। অপরদিকে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু ও উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর।বিগত জোট গত জাতীয় নির্বাচনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হন। খুলনা-৬ আসনটি জামায়াত দখলে থাকলেও সর্বশেষ ২টি নির্বাচনে এই আসনটি চলে যায় আওয়ামীলীগ এর কজ্বায়। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসনে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় আওয়ামী লীগ।

অন্য দিকে খুলনা-৬ আসন দখল নিয়া মরিয়া বিএনপি। সর্বশেষ তথ্য মতে এ আসন থেকে বিএনপি’র ৪ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মরিয়া তাদের দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করতে। অপরদিকে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ২জনই আশাবাদী জোটগত নির্বাচন হলে খুলনা-৬ আসন তারা পাবেন। সর্বশেষ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন বর্তমান সংসদ সদস্য শেখ মো. নূরুল হক। ১৯৭৯ সালে বিএনপি থেকে এমপি হন শেখ রাজ্জাক আলী। তিনি পরবর্তিতে ১৯৯১ সালে খুলনা সদর থেকে নির্বাচিত হয়ে সংসদে স্পিকার হন। তার পর ১৯৯৬ সালে জামায়াত প্রার্থী হয়ে ফেল করে। ফলে ভোটের রাজনীতিতে পাইকগাছা-কয়রা আসনে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জামায়াত তিন দলেরই রয়েছে শক্ত অবস্থান।