আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নৌকার প্রতীকে যাকে প্রার্থী দেওয়া হবে, তার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরোধিতা কেউ করলে তাকে সঙ্গে সঙ্গেই আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে দেওয়া হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।বুধবার (১৪ নভেম্বর)প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারের সময় এ বার্তা দেন। পরে ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। সেখানে আমাদের দলের সভাপতি শেখ হাসিনা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, একজনকে নৌকার প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় ও নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে হবে। দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা কেউ করলে সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।

দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করতে এবং (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনার নির্বাচিত সরকারকে হটানোর জন্য বিএনপি নয়াপল্টনের কার্যালয়ে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে এবং নাশকতা চালিয়েছে। বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে বিনা উসকানিতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এটা একটা ভায়োলেন্স (সহিংসতা) এবং স্যাবোটাজ (অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড)। বিএনপি যে একটি সন্ত্রাসী দল, এই ঘটনা ঘটিয়ে তারা আবার প্রমাণ করলো। এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা দেখতে চাই আইন আছে, আইনি ব্যবস্থা আছে। নির্বাচন কমিশন কী ব্যবস্থা নেয়, আমরা ইসির দিকে তাকিয়ে আছি।দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীরা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়ায় পুলিশের সঙ্গে। তারা পুলিশের দু’টি গাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেয়। নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে।