প্রত্যাবাসনের পরিবর্তে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিক্ষোভ করছে রোহিঙ্গারা। বিক্ষোভে তারা প্রত্যাবাসন বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফের উনচিপ্রাং ক্যাম্পের ভেতর বিক্ষোভ শুরু করে তারা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নেয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।রোহিঙ্গারা এখন আমরা ফিরবো না, গণহত্যার বিচার চাই, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাই, স্বদেশের জায়গা জমি ফেরত চাই’ বলে স্লোগান দেন। বেশিরভাগ রোহিঙ্গা মিয়ানমার ফিরতে রাজি নয় বলে ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে।

বাংলাদেশ-মিয়ানমারের গঠিত যৌথ ওয়ার্কিং গ্র“পের তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী প্রস্তুত দুই দেশ। প্রথম দফায় যেসব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য তালিকা করা হয় তারা টেকনাফের উনচিপ্রাং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা। তাদেরকে মিয়ানমার পাঠানোর জন্য উখিয়ার বালুখালী সংলগ্ন নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ট্রানজিট পয়েন্ট প্রস্তুত রাখা হয়। পূর্ব ঘোষণা মতে মিডিয়াকর্মীসহ সংশ্লিষ্টরা সেখানে গিয়ে অবস্থান নেয়। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী প্রত্যাবাসনের জন্য উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসার জন্য আরআরআরসি অফিসের কয়েকটি বাস সেখানে পৌঁছালে বিক্ষোভ শুরু করেন রোহিঙ্গারা।সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নানা দাবি তুলে স্লোগান দেন রোহিঙ্গারা। এছাড়া রোহিঙ্গাদের বহনের জন্য নিয়ে যাওয়া বাসগুলোকেও ঘিরে রেখেছে তারা।আরআরআরসি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসার জন্য সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছেন। কিন্তু সেখানে রোহিঙ্গারা অংসান সুচি, মিয়ানমারের জান্তাদের বিচার দাবির পাশাপাশি নিজেদের নাগরিকত্ব সনদ হাতে দেয়ার দাবি জানায়।কক্সবাজারের প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করেই প্রত্যাবাসন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরপর কেউ যদি স্বেচ্ছায় যেতে না চায় তাহলে জোর করে কাউকে গাড়িতে না তোলার সিদ্ধান্ত রয়েছে। বুঝিয়েই তাদের নিজ দেশ মিয়ানমার পাঠানো হবে।